নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে সোহেল ফরাজী ও সোহেল শিকদার

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং নিয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ত্যাগী ও নিষ্ঠাবান নেতা মো. সোহেল ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সোহেল শিকদার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাহাদুর খান।
সোহেল ফরাজীর রাজনৈতিক যাত্রা
১৯৯৪ সালে অধ্যক্ষ ইউনুস খানের হাত ধরে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে সোহেল ফরাজী বিএনপির আদর্শে নিবেদিত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি নির্যাতন, হামলা ও পুলিশি হয়রানির শিকার হন এবং একাধিকবার কারাবরণ করেন। ১৯৯৯ সালে নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। ভিসা প্রত্যাখ্যাত হলেও তিনি হাল ছাড়েননি এবং ২০০১ সালে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। একই বছর বরিশাল-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন খানের বিজয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রবাসে থেকেও তিনি ২০০৬ সালে নেতাকর্মীদের নির্যাতনের সময় আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ান। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করেন।
সোহেল শিকদারের অবদান
কর্মীবান্ধব ও ত্যাগী নেতা সোহেল শিকদার জননেতা আবুল হোসেন খানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত। একাধিকবার কারাবরণ করেও তিনি বিএনপির আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি নিয়ামতি ইউনিয়নের তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে বিএনপির প্রচারণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এছাড়া, তিনি স্থানীয় সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে দুস্থ ও নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যা তাকে নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয় করেছে। সর্বসম্মতিক্রমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে তিনি বলেন, “নিয়ামতি ইউনিয়নের জনগণের কল্যাণে কাজ করা এবং বিএনপির আদর্শকে শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য।”
নবনির্বাচিত সভাপতি সোহেল ফরাজী বলেন, “নিয়ামতি ইউনিয়নের জনগণ ও নেতাকর্মীদের সেবায় আমরা একযোগে কাজ করব। আমি বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা বিএনপির আদর্শকে আরও শক্তিশালী করে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অবদান রাখব। আমাদের লক্ষ্য হবে এই ইউনিয়নকে একটি আদর্শ রাজনৈতিক ও সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা।”
নেতাকর্মীরা এই নতুন কমিটির নেতৃত্বে দলের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদী।
Comments