Image description

প্রায় দুই বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে, পরিবারের সম্মতি না থাকায় কিছুটা গোপনেই রেজিষ্ট্রি করে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর ময়মনসিংহ শহরের একটি ভাড়া বাসায় সংসার পাতেন তারা। বছর যেতে না যেতেই বেজে উঠে ভাঙ্গনের সুর। কনের দাবি তার স্বামী নতুন আরেকজনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করতে চায় এবং তাদের বিয়ে অস্বীকার করে। পারিবারিক স্বীকৃতির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী তার স্বামীর বাড়ীতে এসে উঠেন। 

ঘটনাটি ঘঠেছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ছোছাউড়া গ্রামের আলাল মিয়ার বাড়ীতে। আলাল মিয়ার পুত্র মো: হানিফ মিয়ার সাথেই ওই নরীর বিয়ে হয়েছিল। ভুক্তভোগীর উপস্থিতি টের পেয়ে হানিফ মিয়ার পিতা-মাতা বসত ঘরে তালা দিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। উপায় না পেয়ে ওই মেয়ে বারান্দায় অনশনে বসেন স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে। 

ভুক্তভোগী নারী একই উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ময়মনসিংহ একটি বেসরকারি হাসপাতালে সেবিকার চাকুরি করেন। 

জানা গেছে, কলেজ জীবনের লেখা-পড়া করার সময়ই হানিফ মিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে এই সম্পর্ককে চুড়ান্ত রুপ দিতে গোপনে তারা একে অপরকে বিয়ে করেন। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দিঘারকান্দা এলাকার কাজী মো: নাদিরুজ্জামান আলম গত ২০২৩ সালের ২১ জুন তাদের বিয়ের রেজিষ্ট্রি করান। তারপর  হানিফ মিয়ার ফুপাত বোন ময়মনসিংহ বসাবাসকারী রিনা আক্তারের বাসায় তারা ভাড়ায় উঠেন। সেখানে তাদের প্রায় এক বছর সংসার চলে। এরই মধ্যে হানিফ মিয়া তার এক নিকটাত্মীয়ের মেয়ের সাথে নতুন করে প্রেমে জড়ান। এতে তাদের সংসারে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি পরিবারের লোকজনের মাঝে জানাজানি হলে তাদের আলাপ আলোচনায় কোন সমাধান হয়নি। উল্টো ওই মেয়ের সাথে হানিফের পরিবারে লোকজন তাদের বিয়ের কথা পাকাপাকি করতে থাকে। 

ভুক্তভোগী মেয়ে বলেন, এই অবস্থায় আমার আর কোন উপায় না থাকায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবীতে বৃহস্পতিবার সকালে শুশুর বাড়ীতে চলে আসি। এখানে তারা আমাকে গ্রহন না করে উল্টো মারধর করেছে। এখানে অবস্থান নেওয়ার পর তারা ঘরে তালা লাগিয়ে চলে যায়। তারপরও আমি আমার দাবি আদায় ছাড়া আমার আর কোন পথ নেই।

ময়মনসিংহে ভাড়া বাসার মালিক হানিফের ফুফাত বোন রিনা আক্তার জানান, প্রায় ৭ বছর ধরে ময়মনসিংহে আমার বাসায় ভাড়া থাকে। এখন সে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারী হাসপাতালে সেবিকার চাকুরী করে। প্রায় দুই বছর আগে হানিফের সাথে মেয়েটির বিয়ে হয়। কিন্তু এখন হানিফ তার সাথে সংসার করতে চাচ্ছে না। এতে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হানিফের নাম্বারে কল দিলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। 

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ নূরে আলম জানান, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করে নি। তবে দুই পক্ষের পরিবারের লোকজন সমাধান করতে আলোচনায় বসার কথা শুনেছি।