Image description

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিলেও, এই বিষয়টি নিয়ে মার্কিন পক্ষ খুব একটা আগ্রহী ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। তার মতে, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র বোয়িং কেনার বিষয়টি একবারের জন্যও আলোচনায় আনেনি।

তিনি বলেন, "আমাদের বাণিজ্য আলোচনার সময় মনে হয়নি- বাংলাদেশের ২৫টি বোয়িং কেনার ব্যাপারটি যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এটিকে তারা একবারের জন্যও আলোচনার মধ্যে আনেনি।"

উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, বোয়িংয়ের বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা সীমিত এবং এই চুক্তি অনুযায়ী প্রথম বিমান পেতে ২০৩৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

তবে, বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের মূল আগ্রহ ছিল কৃষি ও খাদ্যপণ্যের বাজারে। শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ এটা ছিল যে- বাংলাদেশ খাদ্যপণ্যের প্রায় ১৫-২০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যপণ্য বহির্বিশ্ব থেকে আমদানি করে। যুক্তরাষ্ট্র কৃষিপণ্যের একটি অন্যতম বৃহৎ দেশ।" তিনি মনে করেন, এই খাত থেকে আমদানি বাড়িয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো সম্ভব হবে।

উপদেষ্টা আরও জানান, বোয়িংয়ের মতো পণ্য প্রতিদিন কেনা হয় না, কিন্তু খাদ্যপণ্য আমদানি নিয়মিত প্রক্রিয়া। তার মতে, ২৫টি বিমান দেশের বিমান পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যথেষ্ট নয়, এবং এর চেয়ে বেশি কিছু প্রয়োজন।