Image description

পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরবঙ্গ ও দেশের পোশাকশিল্প অধ্যুষিত অঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এই মহাসড়কের হেমায়েতপুর অংশটি এখন লাখো মানুষের নিত্যদিনের ভোগান্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর (সওজ) এর অবহেলার কারণে হেমায়েতপুরের প্রায় কয়েক"শ মিটার সড়কজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম নাজুক অবস্থা—যা যানজট, পণ্য পরিবহন ও জনদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে এক স্থায়ী বিপর্যয়ে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আরিচা অভিমুখী লেনের কিছু অংশে সড়কের পিচ ঢালাই উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উঁচু-নিচু সড়কে যানবাহন চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে দুই মিনিটে পার হওয়া সম্ভব, সেখানে এক থেকে আধাঘন্টার বেশি সময় লাগছে এই সামান্য দূরত্ব অতিক্রমে। এতে একদিকে যেমন ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনও ব্যাহত হচ্ছে।

আলম নামের এক পোশাক শ্রমিক বলেন,যে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে তাতে প্রায় সময় এখানে গাড়ি বিকল হয়ে আটকে থাকতে দেখা যায় এবং দূঘর্টনা ঘটতে দেখা যায়।

একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গগামী রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের চালক কুদ্দুস আলী। তিনি বলেন, “হেমায়েতপুর এসে দাড়িয়ে যায় বাস। আমাদের আয়-রোজগারেও ক্ষতি হয়। যাত্রীরাও বিরক্ত হয়ে পড়ে।”

এ বিষয়ে জানতে চায়লে সওজ-এর দায়ীত্ব প্রাপ্ত আব্দুল লতিফ মিয়া যায়যায়দিনকে বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। পাশাপাশি আমরাও সাময়িক সংস্কারে কাজ করছি।এখানে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।”

এই দীর্ঘসূত্রতা এবং অব্যবস্থাপনার চিত্র প্রতিদিন প্রতিফলিত হচ্ছে হেমায়েতপুর এলাকায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত উদ্যোগ না নিলে ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জনস্বার্থে দ্রুত এবং সমন্বিত পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।