
এশিয়া কাপের প্রস্তুতি হিসেবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য মিশ্র অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। যদিও বাংলাদেশ সহজেই সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছে, তবে আবুধাবির মতো হাই-স্কোরিং মাঠে খেলার জন্য ব্যাটিং অনুশীলনটা পুরোপুরি হয়নি।
প্রথম দুই ম্যাচে পরে ব্যাটিং করার কারণে বাংলাদেশের ব্যাটিং গভীরতা যাচাই করার সুযোগ কম ছিল। তবে ওপেনার তানজিদ তামিম দ্বিতীয় ম্যাচে ফিফটি করে আস্থা তৈরি করেছেন। অন্যদিকে, মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা নিজেদের প্রমাণের তেমন সুযোগ পাননি, যা এশিয়া কাপের আগে একটি ঘাটতি হিসেবে রয়ে গেল।
এই সিরিজে সবচেয়ে দুর্দান্ত ছিলেন লিটন দাস। তিন ম্যাচে অপরাজিত থেকে তার গড় ছিল ১৪৫। তিনি একটি ফিফটিসহ শেষ ম্যাচে ৪৬ বলে ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। এই সিরিজে তিনি সাকিব আল হাসানকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বাধিক (১৪টি) ফিফটির রেকর্ড গড়েন এবং সিরিজ সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশের পেসাররা এই সিরিজে ভালো পারফর্ম করেছেন। তাসকিন আহমেদ প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান তার ইকোনমি রেট ছয়ের নিচে রেখেছেন। তরুণ পেসার তানজিম সাকিব সীমিত সুযোগে ভালো পারফর্ম করে আস্থার পরিচয় দিয়েছেন।
সিলেটের উইকেটে স্পিনারদের জন্য খুব একটা সুবিধা না থাকলেও নাসুম আহমেদ ও সাইফ হাসান নিজেদের কার্যকর স্পেল উপহার দিয়েছেন। নাসুম দ্বিতীয় ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন, যা টিম ম্যানেজমেন্টকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স বলেছিলেন যে জয়ের চেয়ে 'ইন্টেন্ট' বা ইতিবাচক মনোভাব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি নিশ্চয়ই লিটন, তানজিদ, জাকের বা সোহানের মধ্যে সেই ইতিবাচক মানসিকতা খুঁজে পেয়েছেন। এখন দেখার বিষয়, এশিয়া কাপে তারা তা ধরে রাখতে পারে কি না।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্যতম দুর্বল দিক হলো পাওয়ার হিটিং। এই সিরিজে এর কার্যকারিতা যাচাই করার সুযোগ কম ছিল, কারণ প্রথম দুই ম্যাচে সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে হয়েছে। তবে তৃতীয় ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান (১১ বলে ২২) এবং জাকের আলী অনিক (১৩ বলে ২০) ঝড়ো ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছিলেন, যা ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে।
Comments