
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে আজ এক অভিনব অধ্যায় রচিত হলো। দীর্ঘ ২০ বছর এবং ৩৩১টি ওয়ানডে ম্যাচ পর প্রথমবারের মতো মাঠে নামলো এমন এক বাংলাদেশ দল, যার একাদশে নেই পঞ্চপাণ্ডব—মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো ক্রিকেট বিশ্ব। অভিজ্ঞতার পরিবর্তে তারুণ্য ও নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে বাংলাদেশ আজ এক নতুন যুগে প্রবেশ করলো। এই সিরিজই এখন নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রমাণ করার বড় মঞ্চ।
বুধবার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে এই নতুন ইতিহাস রচনা হয়। মেহেদি হাসান মিরাজ টস করেছেন বাংলাদেশের পক্ষে, আর এ ম্যাচের মধ্য দিয়েই ওয়ানডে ফরম্যাটে তার অধিনায়কত্বের সূচনা হলো।
২০০৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ছিল সর্বশেষ এমন এক ওয়ানডে, যেখানে পঞ্চপাণ্ডবের কেউই ছিলেন না। সেবারও প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা, মাঠও ছিল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে হেরেছিল। ২০০৬ সালে সাকিব ও মুশফিকের অভিষেকের পর থেকে প্রতিটি ম্যাচেই পঞ্চপাণ্ডবের অন্তত একজন ছিলেন একাদশে।
আজকের ম্যাচে সেই ধারাবাহিকতা থেমে গেল। বাংলাদেশ ক্রিকেটে শুরু হলো এক নতুন অধ্যায়, এক নতুন প্রজন্মের যাত্রা।
২০০৫ সালের সেই ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশে ছিলেন- জাভেদ ওমর, শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ রফিক, আফতাব আহমেদ, মোহাম্মদ আশরাফুল, হাবিবুল বাশার, তুষার ইমরান, খালেদ মাসুদ পাইলট, মানজারুল ইসলাম, সৈয়দ রাসেল ও তাপস বৈশ্য।
এই ম্যাচে মাশরাফি ছিলেন না, কারণ তিনি তখন বিশ্রামে ছিলেন। বাকি চারজনের অভিষেক হয়েছিল পরের বছরগুলোতে। সাকিব ও মুশফিক ২০০৬ সালে, আর তামিম ও মাহমুদউল্লাহ ২০০৭ সালে।
Comments