
আইসিসির যেকোনো ইভেন্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল খেলা। তাও এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই। একই ইভন্টে ২০২৫ এর অভিযান শুরু ভারতের বিপক্ষে। দু’দলই সেরা তারকাদের ঘাটতি নিয়ে নামবে। বাংলাদেশ দলে নেই সাকিব, লিটন। ভারত হারিয়েছে বুমরাহকে। অভিজ্ঞ দু’ক্রিকেটার মুশফিক, মাহমুদউল্লহার শেষের শুরুও হতে চলেছে এই টুর্নামেন্ট দিয়ে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বৃস্পতিবার দুপুর ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ভারতীয় সাংবাদিকরা অবাক হয়েছে নাজমুল শান্তর সরাসরি মন্তব্যে। সাকিব নেই তাতে কী? বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নামে, ভারে রোমাঞ্চে পরিপূর্ণ। মিরপুর, কলম্বো, বেঙ্গালুরু, অ্যাডিলেড ক্রিকেটপ্রেমীদের তৃপ্ত করেছে প্রকৃতি।
সবশেষ ৫ ওয়ানডের পরিসংখ্যান! মুখোমুখিতে ৩ জয় বাংলাদেশের। অর্থ্যাৎ র্যাঙ্কিং, শক্তিমত্তার ব্যবধান যেন অনেকটা ম্লান। টিম ইন্ডিয়ার গণমাধ্যম যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত তিনি নাহিদ রানা। এ তরুণ একাদশে থাকবেন কিনা কিংবা কতটুকু বিশ্রাম পেয়েছেন ওসব প্রশ্ন ঘুরেফিরে।
তাই একাদশে তাসকিনের সঙ্গে নাহিদ রানা নাকি মুস্তাফিজ? ভারতের সঙ্গে তানজিম সাকিবের লড়াকু মানসিকতাও বিবেচনায়। দুবাইয়ের কন্ডিশনে গুরুত্ব পাবে স্পিনাররা। মেহেদি মিরাজ, রিশাদ হোসেনের সঙ্গে নাসুম আহমেদের সুযোগ রয়েছে। ওপেনিংয়ে তানজিদ তামিমের সঙ্গে গুরুত্ব পাবে সৌম্য সরকারের অভিজ্ঞতা। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর শেষ ইভেন্ট বলে প্রত্যাশা অধিনায়কের।
ভারতের স্কোয়াডে ৫ স্পিনার। কাকে রেখে কাকে খেলাবে এনিয়ে মধুর সঙ্কটে টিম ম্যানেজমেন্ট। ইনফর্ম শুভমান গিল। ম্যাচের এক্স ফ্যাক্টর ঋষভ পন্ত। আর রোহিত-কোহলিকে নিয়ে নতুন করে আর কি বলার? বাংলাদেশের জন্য যে দুটো উইকেট সবচেয়ে মূল্যবান।
ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, প্রত্যেক ভেন্যুর আচরণ ভিন্ন হয়। দ্রুত উইকেট বুঝতে হয় আমাদের। আইসিসি ইভেন্টের প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এসব ভেবে নিজেকে পাগল বানাতে চাই না।
বাংলাদেশের তিন পেসার নিয়েই খেলার সম্ভাবনা বেশি। সে ক্ষেত্রে তাসকিন-মোস্তাফিজের সঙ্গে তানজিম সাকিব অথবা নাহিদ রানার যেকোনো একজনকে দেখা যেতে পারে। সম্ভাবনা বেশি তানজিম সাকিবেরই। স্পিনে মিরাজের সঙ্গে রিশাদ অথবা নাসুম আহমেদের যেকোনো একজনকে দেখা যেতে পারে। আবার পেসার একজন কম খেলালে তখন এই দুই স্পিনারকেই সেরা একাদশে দেখা যাবে।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments