Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জয় জামায়াতে ইসলামীর জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবিন। তিনি বলেন, ডাকসুতে শিবির যে মধ্যপন্থী কৌশল অবলম্বন করেছে, জামায়াত জাতীয় পর্যায়ে সেই কৌশল প্রয়োগ করতে পারবে কিনা, তা দেখার বিষয়। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন টক শোতে এসব কথা বলেন তিনি।

তাসনুভা জাবিন বলেন, “ছাত্রশিবির ডাকসু নির্বাচনে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ব্যানারে অংশ নিয়েছে। তারা মধ্য ডানপন্থী একটি পন্থা অবলম্বন করেছে, যেখানে ছাত্রীদেরও সম্পৃক্ত করা হয়েছে, এমনকি ছাত্রী সংগঠনের বাইরের মেয়েরাও তাদের সঙ্গে ছিল। আমার মনে হয়, ডাকসুতে শিবিরের এই জয় জাতীয় পর্যায়ে জামায়াতের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হবে। তারা এই মধ্যপন্থী আদর্শ ধরে রাখতে পারবে কিনা, সেটি গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরো বলেন, “সামনে জামায়াতের অঙ্গীকার কী হবে, তা দেখার বিষয়। ক্যাম্পাসে তারা যে পন্থা অবলম্বন করেছে, জাতীয় পর্যায়ে সেটি প্রয়োগ করতে পারবে কিনা, এবং তা মানুষ কতটা গ্রহণ করবে, সেটি পর্যবেক্ষণের বিষয়।”

ডাকসু নির্বাচনে এনসিপির ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের প্যানেল কোনো পদে জয়লাভ করতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে তাসনুভা জাবিন বলেন, “বাগছাসের (বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ) নেতৃবৃন্দ জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ নেতা ছিল। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে বাগছাসের অভ্যন্তরীণ বিভাজন এবং ক্যাম্পাসে শিবিরের তুলনায় কৌশল ও পরিকল্পনায় পিছিয়ে পড়া তাদের ব্যর্থতার কারণ। শিবির ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করে বেশি প্রোগ্রাম করেছে, যা তাদের জয়ে ভূমিকা রেখেছে।”

তিনি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে বলেন, “আমি এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখছি। আমরা সবাই পুনর্বিবেচনা, আত্মশুদ্ধি ও আত্মসমালোচনার সুযোগ পাচ্ছি। এখন মূল বিষয় হচ্ছে, আমরা কতটুকু সংশোধন করতে পারছি।”

ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের এই জয় এবং জামায়াতের জাতীয় পর্যায়ে সম্ভাব্য কৌশল বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।