Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার সতর্ক করে বলেছেন, বাংলাদেশের চলমান সাংবিধানিক সংকটের সমাধান না হলে ভবিষ্যতে গণ-অভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সংবিধানের মৌলিক সংস্কার ছাড়া দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সারোয়ার তুষার বলেন, “আমাদের একটি গুরুতর সাংবিধানিক সংকট রয়েছে, যা প্রতি ৮-১০ বছর পর পর আমাদের ভোগায়। আমরা যদি এই সংকটের সমাধান না করি, তাহলে আবারও গণ-অভ্যুত্থানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।” তিনি জানান, জাতীয় নাগরিক কমিটি থাকাকালীন থেকেই এনসিপি ধারাবাহিকভাবে সংবিধান সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের কথা বলছি। এটি কোনো নতুন দাবি নয়, বরং আমাদের সামষ্টিক অবস্থান। স্থিতিশীলতা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে এই সাংবিধানিক সংকট এবারই সমাধান করা দরকার।”

সংবিধান পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন পেছানোর কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন সারোয়ার তুষার। তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারির সময়সীমার মধ্যেই আমরা সংবিধান সংস্কারের কথা বলছি। সংবিধান পরিবর্তন করতে গেলে নির্বাচন পেছানোর কোনো দরকার নেই।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, পরবর্তী নির্বাচন অবশ্যই নতুন সংবিধানের অধীনে হওয়া উচিত।

সারোয়ার তুষার উল্লেখ করেন, সংবিধান সংস্কারের পরও সরকারের সামনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকবে। তিনি বলেন, “নতুন সরকারেরও সমস্যা থাকবে। দুর্নীতি হতে পারে, যেমনটি নেপালের মতো দেশে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে আবারও আন্দোলন হবে। কিন্তু সাংবিধানিক সংকট যেন বারবার না ঘটে, সেজন্য আমাদের এটি এখনই সমাধান করতে হবে।”

এনসিপির এই নেতা মনে করেন, সাংবিধানিক সংকট সমাধানের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান, যা দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে। এটি না করলে আমরা বারবার একই সংকটের মুখোমুখি হব।”

সারোয়ার তুষারের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাংবিধানিক সংস্কারের এই দাবি দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।