Image description

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকার মব বা উত্তেজিত জনতার ঘটনাকে উৎসাহ দিচ্ছে এবং এর মাধ্যমে নিজেদের সুবিধা হাসিল করছে। তিনি বলেন, “সরকার চায় মব থাকুক, এতে তাদের অনেক লাভ। সরকারের মদতেই মব হচ্ছে।” সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে এসব কথা বলেন তিনি।

রুমিন ফারহানা মব প্রসঙ্গে বলেন, “গত ৩৬৫ দিনে ৩৭০ থেকে ৩৮০টি মবের ঘটনা ঘটেছে। এমন দেশে পাগলও বিনিয়োগ করবে না, বাস করতে চাইবে না। গত ৪০ বছরে বাংলাদেশ থেকে ভয়াবহ ব্রেইন ড্রেন হয়েছে। শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশ সন্তান দেশ ছেড়ে বিদেশে স্থায়ী হয়েছে। যে কয়েকটি শিক্ষিত পরিবার এখনো আছে, তারাও দেশ ছাড়তে চাইছে। আমার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা হলে এটাই শুনি।”

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তিনি বলেন, ৩৬৫ দিনে ৩৭০টি মব হওয়ার কারণ হলো, সরকার ভেতর থেকে চায় মব থাকুক। এই সরকারের কোনো তৃণমূল কর্মী, দল বা অঙ্গসংগঠন নেই। তারা যে কাজ নিজেরা করতে পারে না, মবের মাধ্যমে সেই কাজে চাপ সৃষ্টি করে। শাহবাগে বা যমুনার সামনে বসে সরকার সেই কাজ করে।”

মব রোধে নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে রুমিন বলেন, “গতকাল একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা হলো। তিনি বললেন, প্রতি কয়েক ঘণ্টায় একজন মানুষ খুন হচ্ছে। এই বাংলাদেশে কোনো স্বস্তি নেই। এই সরকার প্রাথমিক স্বস্তিও দিতে পারছে না। নির্বাচন হলে সব সমস্যার সমাধান হবে না, তবে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার পাওয়া যাবে। নির্বাচন হলে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত একটি চেইন অফ কমান্ড প্রতিষ্ঠিত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানবে কারা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। নির্বাচিত দল যদি শক্ত অবস্থান নেয় এবং অপরাধীর আর্থিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রতি পক্ষপাত না করে প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়, তবে দেশের চেহারা পাল্টাতে বেশি সময় লাগবে না।”

রুমিন ফারহানার এই বক্তব্য দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।