Image description

‘আমার বাচ্চা, আমার বাচ্চারে আইনা দেও... ছেলে ছাড়া আমি ক্যামনে বাঁচমু?’—এভাবে হৃদয়বিদারক আহাজারি করছিলেন মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দগ্রামের রেনু বেগম। তাঁর বড় ছেলে লিটন মিয়ার (২৭) গলাকাটা লাশের সামনে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বড় ছিলেন লিটন।

গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পশ্চিম নন্দগ্রামের মসজিদের পাশ থেকে লিটনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, মা রেনু বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন, বোনের কান্নায় পরিবেশ ভারী। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার দুপুরে লিটনকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, স্থানীয়রা সকালে লাশ দেখতে পান। শমশেরনগর ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে হত্যার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।

নিহতের মামা শাহ আলম বলেন, “লিটন খুব ভালো ছেলে ছিল। তার মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা খুনির শাস্তি চাই। পুলিশ দ্রুত আসামি ধরুক।”

কমলগঞ্জ থানার ওসি আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির জানান, নিহতের পরিবার এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।