
সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে অর্থ চাওয়াকে 'মানসিকতার ব্যাপার' বলে উল্লেখ করেছেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, "এই যে ত্রাণ তহবিলের টাকা চাওয়াটা না—এটা হলো একটা মানসিকতার ব্যাপার। একটা প্রবাদ আছে না? চিল অনেক ওপরে ওঠে কিন্তু নজর থাকে নিচের দিকে।"
টাকা চাওয়াটা হলো বাংলাদেশের এনজিও মানসিকতা। জাস্ট এনজিও মানসিকতা—যে মানুষের কাছ থেকে নিতে হবে। আমার অনেক আছে। সো হোয়াট নিতে হবে।
এই একটা ইস্যু পাইছি। কিছু নিতে হবে। আমার কেন যেন মনে হয় এই কাজটা বেসিক্যালি করেছে উনার (প্রধান উপদেষ্টার) প্রেস উইং। এখানে কতগুলো মহাজ্ঞানী আছে কিন্তু।
বিরাট জ্ঞানী। এদের নিয়মিত কেন প্রতি মাসে একটা করে প্রমোশন হয় না? এটা আমি বুঝি না। একজন হইছে বাকিগুলোর হওয়া উচিত। এই মহাজ্ঞানীদের কাজ।’
তিনি বলেন, ‘একবার শুনলাম যে প্রধান উপদেষ্টা বললেন, ডিসেম্বরের মধ্যে ইলেকশন হবে।
পরে এই প্রেস উইং বলতেছে, না, উনি এটা বলেননি। ওটা নাকি আরো পরে হবে। জুনে হবে। তো এ রকম অনেক কিছু হয়—উনাদের কাজ এটা।’
প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার ব্যাপারটা হছে কী—উনি একটা ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টার। আমার কাছে যেটা মনে হয় উনি কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে প্রথমে বলছিলেন আপনারা মুক্ত কণ্ঠে আমাদের সমালোচনা করুন। বলছিলেন না? আমি তো খুব খুশি হয়েছিলাম। যে সমালোচনা মানে আমি সমালোচনা করব, উনি সেটা বিচার করে দেখবেন। যদি এখানে মনে করেন ১০টা কথা বললাম, একটাও উনার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়, তাহলে তিনি সেটা গ্রহণ করবেন। আমাদের কথা হলো যে উনি স্টিয়ারিংয়ে বসে গাড়িটা চালাচ্ছেন। আর আমার একটু বলা ভাই সামনে কিন্তু একটা খাদ আছে দেখেন। কিন্তু এটুকু বলা, উনি খাদটাকে এড়িয়ে চলবেন মূলত লক্ষ্য তো এটাই। কিন্তু উনার কথা পরে বুঝেছি এ রকম যে আপনারা মুক্ত কণ্ঠে আমাদের সমালোচনা করবেন আমি কান বন্ধ করে কিছুই শুনব না। উনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কে কী বললেন আমি কিচ্ছু শুনব না। উনি শোনেনও না। এই বয়সে শোনার আসলে ভাই সে রকম শারীরিক সক্ষমতা থাকে না। এটা উনাকে ব্যক্তিগতভাবে অ্যাটাক করছি না।’
তহবিলের স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা, উনি তো প্রাইম মিনিস্টার। আপনি উনার নামে, উনার অফিসের নামে একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে ভেরিফায়েড, সেখানে এ রকম ঘোষণা দিয়ে আবার উঠায়ে নেওয়া এর চেয়ে লজ্জার কিছু আর হতে পারে? টাকা চাচ্ছে আর এই মানসিকতাটা কি না টাকার অভাব।’
Comments