
প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এইচ এম রুহুল আমিন মোল্লা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জানান, দণ্ডের পাশাপাশি আদালত প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এই নিয়ে এ পর্যন্ত পাঁচটি প্রতারণার মামলায় এই দম্পতির মোট ১২ বছরের কারাদণ্ড হলো।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে ইভ্যালি। তারা বিভিন্ন পণ্যে আকর্ষণীয় ছাড়ের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অগ্রিম টাকা নেয়। কিন্তু মাসের পর মাস অপেক্ষার পরও অনেক গ্রাহক পণ্য বা টাকা কোনোটাই ফেরত পাননি। এক পর্যায়ে ইভ্যালি গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকা দেনায় পড়ে। এই ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ নামের এক গ্রাহক ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর আদালতে মামলা করেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আজাদ ইভ্যালির বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে ২৩ লাখ টাকায় ১১টি মোটরসাইকেলের অর্ডার দেন এবং এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি কোনো পণ্য পাননি।
মামলা হওয়ার পর আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেয়। পিবিআই'র এসআই বাসুদেব সরকার গত বছরের ২৭ মার্চ রাসেল ও শামীমাকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন। গত ৯ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় এবং তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর আজ এই রায় ঘোষণা করা হলো।
এর আগে বিভিন্ন সময়ে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে করা আরও চারটি মামলায় রাসেল ও শামীমাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
Comments