
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা গত ১১ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচনের কোনো বিকল্প আমাদের হাতে নেই।’ প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব গত ৭ সেপ্টেম্বর বলেছেন, ‘নির্বাচন যে করেই হোক ফেব্রুয়ারির (২০২৬ সালের) প্রথমার্ধেই হবে। পৃথিবীর কোনো শক্তি নেই যে এই নির্বাচন ঠেকাতে পারে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গত ১৩ সেপ্টেম্বর বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হবে। দেশের আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞরাও দেশকে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের তাগিদ দিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে চব্বিশের গণ-আন্দোলনের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোও একমত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানে দলগুলোর আপত্তি নেই।
কিন্তু তার পরও দেশের বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ঘোষিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা নিয়ে সংশয় কাটছে না।
রাজনীতিবিদদের একাংশের ধারণা, রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ দূর না হলে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হবে। বিদ্যমান সামাজিক নৈরাজ্য রাজনৈতিক নৈরাজ্যে রূপ নিতে পারে, যার প্রভাবে দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা বিপর্যস্ত হবে।
জটিলতা দেখা দিয়েছে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করে তার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক বা পিআর পদ্ধতি চালুর দাবি নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। এসব দাবিতে জামায়াতে ইসলামীসহ চারটি ইসলামী দল এরই মধ্যে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আরো কয়েকটি দল এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে বলে প্রচার রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে একযোগে এই আন্দোলন শুরু হতে যাচ্ছে।
Comments