সৈয়দপুরে পিকআপে রাখা মাছের পানিতে প্রধান দুই সড়কের বেহাল অবস্থা

রাত থেকে পানিসহ মাছ ভর্তি সারি সারি পিকআপের জটলা শহরের প্রধান দুই সড়কে। পিকআপ থেকে মাছের পানি পড়ছে প্রধান ওই দুই সড়কে। ফলে রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে খানাখন্দ ও জলাবদ্ধতা। এতে করে যানবাহন সহ পথচারীদের চলাচলেও ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ও শহীদ ডা. শামসুল হক প্রধান দুইটি সড়কের এমনই দৃশ্য এখন নিত্যদিনের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ও শহীদ ডা. শামসুল হক সড়কের মাছের বাজারের সামনে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ১৬/১৭ টি মাছবাহী পিকআপ। রাত ১ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত এই চিত্র নিত্যদিনের। সেখানে মাছ রাখার জন্য মোটা পলিথিন দিয়ে করা হয়েছে জলাধার। একই সাথে ওই পানিতে ঢেউ তুলে মাছ জীবিত রাখতে বসানো হয়েছে যান্ত্রিক মোটর। পরে সৈয়দপুরের ওই মাছ আড়তে আনলোড করার সময় পিকআপের সব পানিই পড়ছে ওই দুই রাস্তায়। ফলে উষ্ণকালেও ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় থাকছে জলাবদ্ধতা।
ওই মাছ আড়তের মাছ ব্যবসায়ী বাবলু বলেন, সৈয়দপুরের মাছ বাজার প্রধান ওই দুড়কের মাঝখানে থাকায় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ও শহীদ ডা. শামসুল হক সড়ক ছাড়া অন্য কোথাও পিকআপ দাঁড়ানোর ব্যবস্থা নেই। সড়কে পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা না থাকায় মাছের গাড়ির পানি রাস্তায় পড়ে জমাট বাধছে। এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আরেক মাছ ব্যবসায়ী নিরা জানান, জেলার সবচেয়ে বড় মাছের আড়ত হলো সৈয়দপুরে। এ কারণে প্রায় প্রতিদিনই ২০ থেকে ২৫ টি পিকআপ ভর্তি মাছ আসে সৈয়দপুরে এবং এখান থেকে সরবরাহ করা হয় নীলফামারীর প্রতিটি উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী শহর তারাগঞ্জ, রানীরবন্দর, খানসামা, চিরিরবন্দর ও পার্বতীপুরে। মাছ জীবিত রাখতে পিকআপে পানি রাখা হয়। মাছ আনলোড করার সময় ওই পানি রাস্তায় পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
বাদল নামের অপর এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ মাছের পিকআপ প্রতি প্রতিদিন ১/২ শত টাকা নেয় অথচ পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করছেন না। এর ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সকলেই।
মাছের আড়তে মাছ কিনতে আসা ক'জন ক্রেতা জানান, শুধু ওই দুই সড়কই, শহরের প্রায় সবকটি সড়কেরই বেহাল অবস্থা। শহরের উন্নয়নে প্রতিবছর শত কোটি টাকার বাজেট হলেও উন্নয়ন তেমন দৃশ্যমান না। গত বছরে পৌরসভার বাজেট পেশ করা হয় ১৭১ কোটি টাকা এবং শেষের বছর বাজেট ঘোষণা করেন ১৫৬ কোটি টাকা। কিš‘ উন্নয়ন তেমন হয়নি।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, এরই মধ্যে শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ও শহীদ ডা. শামসুল হক সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই সংস্কার কাজ শুরুর টেন্ডার আহবান করা হবে। এ কাজ হলে আর মানুষের ভোগান্তি থাকবে না বলে জানান তিনি।
Comments