Image description

বরিশাল নগরীর রাখাল বাবুর পুকুরের দক্ষিণ পাশে ফকিরবাড়ি রোডে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করেছে ‘মিঠু খাবার হোটেল এন্ড রেস্তোরা’। সুপরিচিত হোটেল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম মিঠু এই রেস্তোরাঁটি চালু করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে খাবারের ব্যবসায় জড়িত থাকায় তিনি এলাকায় পরিচিত মুখ। সাশ্রয়ী মূল্যে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে এবং বৈচিত্র্যময় মেনু নিয়ে হোটেলটি ক্রেতাদের মন জয় করছে।

বৈচিত্র্যময় মেনু ও সাশ্রয়ী দাম

হোটেলের মেনুতে সকাল, দুপুর ও রাতের জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন খাবারের আয়োজন। সকালের মেনুতে আছে আলু, পেঁপে, কলা, কালোজিরা, ভটভটি, মরিচ, ডাল, টমেটো, পটল ভর্তা, ডালের বড়া ও ডিম ভাজি। প্রতি পিস ভর্তার দাম মাত্র ৫ টাকা এবং প্রতি প্লেট ভাত ১০ টাকা। আগামী মাস থেকে সকাল ও বিকেলে পড়াটা, রুটি ভাজি, তন্দুর রুটি ও লটপটি বিক্রি শুরু হবে।

দুপুরের খাবারে রয়েছে গরুর মাংস, মুরগি, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ডিম, সবজি ও ভর্তার সমৃদ্ধ আয়োজন। প্রতিদিন ভিন্ন পদ পরিবেশন করা হয়। রাতের মেনুতে ডিম, মুরগি, মাছ, সবজি ও ডাল চচ্চড়ির মতো স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রয়েছে।

বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে দুপুরের অফার—১০ রকমের ভর্তা ও এক প্রকার মাছ মাত্র ৪০ টাকায়, সঙ্গে ডাল ও মরিচ ভর্তা বিনামূল্যে।

ক্রেতাদের প্রশংসা

ক্রেতারা হোটেলের খাবার ও পরিবেশ নিয়ে ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন। ক্রেতা নিশাত বলেন, “খাবারের স্বাদ চমৎকার, বিশেষ করে সকালের ভর্তা। পরিবেশও পরিষ্কার।”

আরিফ বলেন, “বর্তমান বাজারে এত কম দামে এমন মানসম্মত খাবার পাওয়া সত্যিই প্রশংসনীয়। ছাত্র-কর্মজীবী সবাই এখানে খেতে পারবে।” সালাম নামে আরেক ক্রেতা জানান, “গরুর মাংস ও ভর্তায় গ্রামের স্বাদ পেয়েছি, যা শহরে বিরল।”

মালিকের প্রতিশ্রুতি

হোটেলের মালিক রবিউল ইসলাম মিঠু বলেন, “সাশ্রয়ী দামে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করাই আমার লক্ষ্য। ক্রেতাদের ভালোবাসায় আমরা ইতিমধ্যে সাড়া পাচ্ছি। বরিশালের মানুষের জন্য মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করতে চাই।”

জমজমাট শুরু

নগরীর ব্যস্ত এলাকায় অবস্থিত এই হোটেল অল্প সময়েই ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে। সাশ্রয়ী মূল্য, বৈচিত্র্যময় মেনু ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে এটি এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।