Image description

ভোলায় ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো. আমিনুল হক নোমানীর হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঘটনার ৬ দিন পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের বড় ছেলে মো. রেদোয়ানুল হককে (১৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় ভোলা পুলিশ সুপার মো. শরিফুল হক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, রেদোয়ান তার পিতার কঠোর শাসনের কারণে মানসিকভাবে বিক্ষুব্ধ ছিল। তার মনে হতো, তিনি কোনো স্বাধীনতা পাচ্ছেন না। এর ফলে তার মধ্যে দুটি চিন্তা জন্ম নেয়— হয় নিজে আত্মহত্যা করা, নয়তো তার পিতাকে হত্যা করা। তিনি বিভিন্ন মুভি দেখে হত্যার কৌশল রপ্ত করেন এবং পরিকল্পিতভাবে তার পিতার ঘাড়, বুক ও পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা করেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী হালিমা বিনতে কামাল বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১৩, তারিখ: ০৭/০৯/২০২৫, ধারা: ৩০২/৩৪ পেনাল কোড)। ঘটনার পর থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত শুরু করে। ১২ সেপ্টেম্বর সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে রেদোয়ানকে তার নিজ বাসা থেকে হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পিতৃহত্যার কথা স্বীকার করেন এবং তার দেখানো মতে বাসার পাশের খালের কিনার থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।

মামলাটি বর্তমানে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ও জেলা গোয়েন্দা শাখার তদন্তাধীন রয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে ভোলার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন।