Image description

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় এনসিপির আয়োজনে চলছে অনুমতিহীন ‘জুলাই ৩৬ মেলা’, যা স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। মঙ্গাপীড়িত এই এলাকায় ভাদ্র-আশ্বিন মাসে অভাবের তীব্রতা বাড়ে, এমন সময়ে এই মেলাকে স্থানীয়রা সময়োপযোগী মনে করছেন না।

মেলায় প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, আর ভেতরে নাগরদোলা, মোটরসাইকেল শো সহ বিভিন্ন রাইডের জন্য গলাকাটা ফি গুনতে হচ্ছে। পণ্যের দামও হতাশাজনক। আয়োজকরা দাবি করছেন, জুলাই ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে এই মেলার আয়োজন। কিন্তু মেলায় আন্দোলনের কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই, বরং পাশের শহীদ মিনার অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে।

মেলার উচ্চশব্দে ডিজে গান ও হৈচৈয়ের কারণে পাশের মাদ্রাসা, কবরস্থান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শব্দদূষণে পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া মেলাকে কেন্দ্র করে বাজার এলাকায় তীব্র যানজটে পথচারী ও সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন।

স্থানীয়রা মেলা বন্ধে মানববন্ধন করলেও কোনো প্রতিকার পাননি। সচেতন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, “এই অবৈধ মেলার আয়োজকরা ধান্দাবাজি করছে। মঙ্গাপীড়িত এলাকায় মানুষের পকেট খালি করা হচ্ছে। আমরা এর বিচার চাই।”

মেলা কমিটির আহ্বায়ক রেজাউল করিম দাবি করেন, অনুমোদন নেওয়া হয়েছে, তবে কার কাছ থেকে তা স্পষ্ট করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায় জানান, মেলার জন্য কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।

স্থানীয়রা এই অনুমতিহীন মেলা বন্ধ ও সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।