
সাম্প্রতিক একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে যে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। স্টকহোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল অ্যাসিস্ট্যান্স (IDEA)-এর ‘গ্লোবাল স্টেট অব ডেমোক্রেসি ২০২৫’ প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৭৪টি দেশের মধ্যে ৯৪টিতে গণতান্ত্রিক সূচকের অন্তত একটি ক্ষেত্রে অবনমন ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানুষের অধিকার এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা হ্রাস পাওয়ায় অনেক দেশে স্বৈরাচারী শাসন জেঁকে বসেছে। IDEA-এর মহাসচিব কেভিন কাসাস-জামোরা জানান, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন, বিচার ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ এবং কার্যকর সংসদের অভাব গণতন্ত্রের জন্য উদ্বেগজনক হুমকি।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ধস
২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে গত ৫০ বছরের মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি অবনমবন ঘটেছে বলে জানিয়েছেন কেভেন। বিশ্বের মোট ৪৩টি দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের ১৫টি এবং ইউরোপের ১৫টি দেশ। এ ছাড়া এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান, মিয়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো।
যুক্তরাষ্ট্রেও গণতন্ত্রের অবনতি
প্রতিবেদনে বলা হয়, চারটি সূচকের মধ্যে প্রতিনিধিত্ব সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৩৫ এবং অধিকারের ক্ষেত্রে ৩২। প্রতিবেদনটিতে অবশ্য গত জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগের সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
ইতিবাচক দিক
সব অবনমনের মধ্যেও কিছু ইতিবাচক উদাহরণ রয়েছে। আফ্রিকার বতসোয়ানা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সাফল্য দেখিয়েছে। প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনার একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছে, যা নীতিনির্ধারকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
Comments