Image description

নেপালের ইতিহাসে প্রথম এবং একমাত্র নারী প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি এবার দেশটির অন্তর্বতী প্রধানমন্ত্রী হলেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতির জন্য অধিক পরিচিত সাবেক এই বিচারপতি। শিক্ষকতা পেশায় থাকলেও আইনের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের ইচ্ছা তাঁকে নিয়ে আসে বিচারব্যবস্থায়। এবার দেশ শাসনের দায়িত্ব পেলেন ৭২ বছর বয়সী সুশীলা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

১৯৮৫ সালে শিক্ষিকতার পেশায় যোগ দিয়েছিলেন সুশীলা কার্কি। কিন্তু আইনের মাধ্যমে সমাজ সংস্কারের ইচ্ছে থেকে পেশা পরিবর্তন করেন তিনি। যোগ দেন আইন পেশায়।

২০০৭ সালে সিনিয়র অ্যাডভোকেট হন সুশীলা। পরে ২০১৬ সালে নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। বিচারপতির দায়িত্ব নিয়ে নিজেকে নির্ভীক, যোগ্য এবং সততার আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন ৭২ বছর বয়সী এই নারী। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতির জন্য অধিক পরিচিত সুশীলা।

এর আগে, সুশীলা কার্কি সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য হিসেবে ২০০৬ সালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ২০০৯ সালে অ্যাড-হক সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। পরে অল্প সময়ের জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তাঁর বিচারিক জীবনে বহু গুরুত্বপূর্ণ রায় এসেছে, বিশেষ করে ট্রানজিশনাল জাস্টিস ও নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে। ২০১৭ সালে তাঁর বিরুদ্ধে সংসদে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হলেও, প্রবল জনচাপ ও আদালতের নির্দেশে তা পরে প্রত্যাহার করা হয়।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নেপালি কংগ্রেসের নেতা দুর্গা প্রসাদ সুবেদীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

১৯৫২ সালের ৭ জুন নেপালের বিরাটনগরে সুশীলা কার্কির জন্ম। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও আইন বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন তিনি।