Image description

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল সাপমারা গ্রামের ‘স্মার্ট কৃষক’ ফেরদৌস মিয়া পেঁপে চাষে সাফল্যের প্রতীক হলেও এ বছর বৈরী আবহাওয়ার কাছে হার মানতে হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও বীজ নির্বাচনে ভুলের কারণে তার ৫০০ পেঁপের চারা নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। তবে হাল না ছেড়ে ভিন্ন ফসলের চাষে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছেন এই কৃষক।

ফেরদৌস মিয়া বলেন, “বিরূপ আবহাওয়া ও বীজ নির্বাচনের ভুলে ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষিতে ব্যর্থতা মানে হার মানা নয়। নতুন ফসলের পরিকল্পনা করছি, সামনে আরও বড় আকারে কাজ করব।”

২০১৬ সালে ১০৫টি পেঁপের চারা রোপণ করে কৃষিজীবন শুরু করেন ফেরদৌস। প্রথম মৌসুমে এক লাখ টাকা আয়ের পর ২০১৭ সালে ৫০০ গাছ থেকে আয় করেন ৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে দুষ্কৃতকারীরা তার ৫০০ চারা কেটে ফেলে এবং ২০২২ সালে ঝড়ে বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তিনি সফলতার ধারা অব্যাহত রাখেন। বর্তমানে তার ৭ বিঘা জমিতে পেঁপেসহ কলা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, হলুদ, মরিচ ও শাকসবজির চাষ চলছে। তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে চারা লাগিয়ে বৃক্ষরোপণেও অবদান রাখছেন।

গাজীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা সুলতানা বলেন, “বৃষ্টির কারণে ফেরদৌসসহ অনেক চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একই জমিতে বারবার পেঁপে চাষের ফলে পোকামাকড় ও রোগবালাই বাড়ে। ফসল পরিবর্তন করলে ভালো ফলন সম্ভব। পূবাইলে লাউ, ফুলকপি ও শাকসবজির চাষে ফেরদৌস ভালো করতে পারেন।”

ফেরদৌস জানান, তিনি শিক্ষার্থী ও বেকার তরুণদের কৃষিতে উদ্বুদ্ধ করবেন। তিনি বলেন, “একজন শিক্ষার্থী ২৫টি পেঁপে গাছ লাগালেও মৌসুমে এক লাখ টাকা আয় সম্ভব। বীজ নির্বাচনে সতর্কতা ও আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে ভিন্ন ফসলে কাজ করব।”