
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমে ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে চারটি ক্লাব। মঙ্গলবার রাতে প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগ শেষে এই ক্লাবগুলো হলো নরওয়ের বোধো/গ্লিমট, কাজাখস্তানের কায়রাত আলমাতি, সাইপ্রাসের পাফোস এবং বেলজিয়ামের ইউনিয়ন সেইন্ট-জিলোয়া। এর মাধ্যমে তারা ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে একই মঞ্চে খেলার সুযোগ পাচ্ছে।
কাজাখস্তানের কায়রাত আলমাতির জন্য এই যাত্রা ছিল বেশ কঠিন। স্কটিশ চ্যাম্পিয়ন সেল্টিকের বিপক্ষে দুই লেগেই কোনো গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৩-২ ব্যবধানে জিতে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে জায়গা করে নেয় তারা। অন্যদিকে, নরওয়ের ক্লাব বোধো/গ্লিমট প্রথম লেগে স্টুর্ম গ্রাজকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করে। ফিরতি লেগে ২-১ গোলে হারলেও মোট ৬-২ ব্যবধানে তারা নিশ্চিত করেছে মূল পর্বের টিকিট। সাইপ্রাসের ক্লাব পাফোসও লিখেছে রূপকথার গল্প। ইউরোপীয় আসরে তাদের প্রথম অংশগ্রহণেই তারা ক্রভেনা জভেজদার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জিতে স্বপ্নের টিকিট নিশ্চিত করে। এদিকে, বেলজিয়ান প্রো লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল পর্বে জায়গা পেয়েছে ইউনিয়ন সেইন্ট-জিলোয়া, যা তাদের জন্যও একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।
এই অর্জনগুলো তাদের নিজ নিজ দেশের ফুটবলের জন্য অনন্য। ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর বোধো/গ্লিমটই প্রথম নরওয়েজিয়ান দল যারা এই আসরে খেলবে, আর পাফোসের এই অগ্রগতি সাইপ্রাস ফুটবলের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
আগামী ২৮ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের নিওনে অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ পর্বের ড্র। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি কিংবা বায়ার্ন মিউনিখের মতো ইউরোপিয়ান জায়ান্টদের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যাবে এই নতুন দলগুলোকে।
Comments