জলঢাকায় সড়ক দখল করে দুই পাশে ফলের দোকান, যানজটে জনদুর্ভোগ

নীলফামারী জলঢাকা একটি ব্যাস্ততম শহর। এই শহরের ভিতর দিয়ে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের যাতায়াত। তাছাড়া এই শহরের প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের বাস। এজন্য সড়কে যানবাহনে চাপ বেশি। তাই রাস্তার দুই পাশে ফলের দোকানের কারণে প্রতি নিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। ফল ব্যাবসায়ীরা যেন ওখানে সড়ক দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই?
পৌর শহরের জিরো পয়েন্টর সামনে ডোমার ডিমলা রোডে অবস্থিত ফল বাজার। দোকানদাররা অনেক আগেই ফুটপাত দখল করে নিয়েছে আর এখন সেখানে তারা সড়কে বালুর বস্তুা দিয়ে রাস্তা দখল করে বিভিন্ন ফলের পালসা সাজিয়ে রেখেছে। ফুটপাত থেকে পাঁচ ফুট রাস্তা দখল করে নিয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত সড়ক দখল করেই চলছে। ফল গ্রাহক মটরসাইকেল কিংবা অটোরিকশা নিয়ে ফল কিনতে দোকানের সামনে দাঁড়ালে অর্ধেক রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারী সহ সাধারণ মানুষকে। এই যানজটের কারণটা সবাই দেখলেও যেন উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের চোখে পরে না?
সচেতন সমাজের নাগরিকরা মনে করেন ফলের দোকানদাররা যদি ফুটপাত ও রাস্তা ছেড়ে দিয়ে নির্দিষ্ট যায়গায় দোকান করত তাহলে এতো যানজটের সৃষ্টি হতো না।
সচেতন নাগরিকের পক্ষে মাহাদী হাসান মানিক জানান, ফল ব্যাবসায়ীরা পাঁচ ফুট রাস্তা দখল করে ফল বিক্রি করছে এটা তাদের কোন নিয়ম। আবার হকারাও রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে। ওদের সামনে ক্রেতারা দাড়ালে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় ফলে যানবাহন আটকে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। এতে করে দুর্ভোগে পড়তে আমাদের। পৌর কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে নজর দিতো ফল ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিত। তাহলে কিছুটা হলেও যানজট কমত।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জায়িদ ইমরুল মোযাক্কিন বলেন, সড়ক দখল করে কেউ দোকান দিলে তা বেআইনি। যদি এমনটা কেউ করে থাকে তাহলে তদন্ত করে আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments