
ঢাকার ধামরাইয়ে পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার সময় প্রেমিকার স্বামী ও তার সহযোগীরা ছুরিকাঘাতে ফজলুল হক (৩৫) ও মফিজুল ইসলাম (৪০) নামে দুই ব্যক্তিকে গুরুত্বর আহত করা হয়। স্থানীয়রা তাঁদেরকে সাভারের এনাম মেডিকেল এ নিয়ে যাওয়ার পর ফজলুল হক নামে এক ব্যক্তি মারা যায়। মফিজুল নামে অপর ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ধামরাই থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির। সোমবার (২৬ আগষ্ট) উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের রুপনগর বুড়ির ভিটা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
গতকাল সোমবার রাতে ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রাকিব হাসান হৃদয় (২৩), মজনু শেখ (৪২), হোসেন আলী (২০) এবং শাহীন মিয়া ওরফে নাইম (২২)। এ ঘটনার সাথে জড়িত আকাইল ওরফে আকাশ নামে আরও একজন পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রূপনগর বুড়ির ভিটা এলাকার একটি ব্রিজের ঢালে ফজলুল হক ও তার সহকর্মী মফিজুল ইসলামকে (৪০) ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফজলুল হককে মৃত ঘোষণা করেন। মফিজুল এখনও চিকিৎসাধীন। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির বলেন, নিহত ফজলুল হকের সঙ্গে পলাতক আকাইল ওরফে আকাশের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন ফজলুল হক, তার বন্ধু মফিজুল ইসলাম ও আকাশের স্ত্রী মিলে বুড়ির ভিটা এলাকায় ঘুরতে আসেন। খবর পেয়ে আকাশসহ তার সহযোগীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলা চালায়। এতে দুজন ছুরিকাহত হন। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় আজ ধামরাই থানায় একটি মামলা হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত চারজন গ্রেপ্তার হলেও আকাশসহ কয়েকজন সহযোগী এখনো পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Comments