
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ ও হামলার কারণে কমপক্ষে ১০ লাখ নারী ও কিশোরী ভয়াবহ অনাহারের শিকার হয়েছে। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) শনিবার এক প্রতিবেদনে এই মর্মান্তিক খবরটি দিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার নারী ও মেয়েরা গণঅনাহার, সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার। তারা জীবন বাঁচাতে এমন সব বিপজ্জনক কৌশল নিতে বাধ্য হচ্ছে, যা তাদের জীবনকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। খাবারের খোঁজে তাদের এমন স্থানে যেতে হচ্ছে, যেখানে গুলি বা হামলায় নিহত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
সংস্থাটি গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার পাশাপাশি সেখানে বড় আকারের মানবিক সহায়তা দ্রুত পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে।
আনাদোলু সংবাদ সংস্থা বলছে, গাজা বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্ভিক্ষ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৬১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল চলতি বছরের ২ মার্চ থেকে গাজার সব সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় হাজার হাজার সহায়তা-ট্রাক আটকে আছে। ফলে সীমিত আকারে যে সামান্য ত্রাণ ঢুকছে, তা লাখো ক্ষুধার্ত মানুষের চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সতর্ক করেছিল যে, গাজার ২৪ লাখ মানুষের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ কয়েক দিন ধরে কোনো খাবার পায়নি।
গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও বিচারের মুখোমুখি হয়েছে।
Comments