পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে টানা ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যার কারণে মৃতের সংখ্যা ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়ায়ই অন্তত ৩২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসের ফলে বুনের, সোয়াত, মানসেহরা, বাজাউর এবং বাটাগ্রামসহ বেশ কয়েকটি জেলায় ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুনের জেলার বেশন্ত্রি গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে দাফন-জানাজার জন্যও কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই হতাহতের খবর আছে।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুনের, সোয়াত, বাজাউর, তোরঘর, মানসেহরা, শাংলা ও বটগ্রাম। গিলগিট-বালতিস্তানে ১২ জন এবং আজাদ কাশ্মীরে ১১ জন মারা গেছেন।

বর্তমানে বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রায় ২ হাজার উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন। তবে রাতের আঁধার ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

প্রাদেশিক সরকার ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর জন্য ৫০ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে, যার মধ্যে শুধু বুনের জেলাতেই ১৫ কোটি রুপি দেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে করে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে মৃতদেহ ও আহতদের ভিড়ে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।