স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, মধ্যরাতে শাশুড়িকে ফোন করে পালালেন স্বামী

রাজধানীর শেওড়াপাড়া এলাকায় মধ্যরাতে কেয়া (২৫) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সিফাত আলী (২৮)-এর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর সিফাত কেয়ার মাকে ফোন করে জানান, “আপনার মেয়ে আর নেই,” এবং এরপর তিনি পলাতক হন।
কেয়ার মা নাজমা বেগম জানান, রাত সোয়া একটার দিকে সিফাত ফোন করে তাকে তাড়াতাড়ি বাসায় আসতে বলেন। প্রথমে একটি হাসপাতালের কথা বললেও পরে বিআরবি হাসপাতালে যেতে বলেন। কেয়ার পরিবার হাসপাতালে পৌঁছে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। কেয়া চার সন্তানের জননী ছিলেন। তার তিন মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সন্তানের বয়স মাত্র দেড় বছর।
কেয়ার এক আত্মীয় মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না জানান, সিফাত বিতর্কিত চরিত্রের এবং হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি বলেন, “কেয়াকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।”
কেয়ার বাবার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের খাকচক গ্রামে। তার বাবার নাম আল মাহমুদ রফিক। কেয়া রায়পুরা উপজেলার পাঁচবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী নূর আহমেদের নাতনি।
জানা গেছে, কেয়ার সঙ্গে সিফাতের ১২ বছর আগে বিয়ে হয়। হত্যার পর সিফাত পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং সিফাতের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে।
Comments