Image description

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে হত্যার প্রতিবাদে নীলফামারীর ডোমারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১১টায় ডোমার রেলগেট সংলগ্ন বাটার মোড়ে এ কর্মসূচি আয়োজন করে ডোমার প্রেসক্লাব। এতে অংশ নেন উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।

ডোমার প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাফফর আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রওশন রশিদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিভিন্ন সংবাদকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, সাংবাদিক তুহিন ছিলেন সত্যনিষ্ঠ ও নির্ভীক সংবাদকর্মী। তার ওপর হামলা ও হত্যা শুধু একজন সাংবাদিককে হত্যাই নয়, এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনস্বার্থের উপর সরাসরি আঘাত। তারা অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বর্তমানে সাংবাদিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমরা সঠিক তথ্য প্রকাশ করলে জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়, আবার তা না করলে হয়ে যাই খারাপ সাংবাদিক। এখনকার পরিস্থিতি তাই শেখাচ্ছে।”

নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াসীন মো. সিথুন বলেন, “যে কোনো ঘটনার তথ্য পুলিশের আগে সাংবাদিকরা জানে। পুলিশের কাছে মন্তব্য চাইতে গেলে অনেক সময় তারা বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না, খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি’। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। দেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা বন্ধ না হলে গণমাধ্যমকর্মীরা কঠোর আন্দোলনে যাবে।”

সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম আপেল বলেন, “ইতিপূর্বে বিভিন্ন সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। স্বাধীন সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ একটি স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপের শামিল। সাংবাদিক সুরক্ষা আইন ও নিরাপত্তা বিধান বাস্তবায়নে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।”

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, ডোমার রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক রতন রায়, আমার দেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক, রিপোর্টস ক্লাবের সম্পাদক সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, শিশু সাংবাদিক মাহমুদ হাসান, রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি জুলফিকার আলি, সাংবাদিক আবু ফাত্তাহ কামাল প্রমুখ।

মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রনেতা মাহির মিলন এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর উপজেলা সভাপতি গোলাম আইয়ুব কুদ্দুস।