Image description

অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর সৃজনশীল চিন্তার মাধ্যমে মাছের আঁইশকে রূপ দিয়েছেন সম্ভাবনার খাতে। এক সময় ভাংগারীর দোকানে মজুরীর কাজ থেকে শুরু করে  কুচিয়া মাছের ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি মাছের আঁইশ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের মাধ্যমে গড়েছেন আয়বর্ধক এক কর্মযজ্ঞ। 

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচগ্রাম মৃধা পাড়ার তরুণ  উদ্যোক্তা  ইমরান হোসেন। তিনি পাঁচগ্রাম মৃধা পাড়ার হেলাল উদ্দিনের ছেলে। এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে  বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এহেড সোস্যাল অর্গানাইজেশন ‘এসো’ এবং আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। 

ইমরান স্থানীয় হাট-বাজার থেকে মাছ প্রসেসিংয়ের পর পরিত্যক্ত আঁইশ সংগ্রহ করেন। সেগুলো পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। এই আঁইশ পরবর্তীতে রপ্তানি হয়ে পৌঁছায় বিদেশে। এতে স্থানীয় ভাবে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে, তেমনি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের খাতেও যুক্ত হয়েছে নতুন সম্ভাবনা। 

‘এসো’ এর কৃষি ইউনিটের মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান বলেন, মাছের আঁইশ প্রক্রিয়াজাত করে কোলাজেন, জেলাটিন ও ক্যালসিয়াম জাতীয় উপাদান তৈরি সম্ভব, যা প্রসাধনী, ঔষধ ও খাদ্যশিল্পে বহুল ব্যবহৃত। এটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।

কালাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. তৌহিদা মোহতামিম বলেন, ইমরানের মতো উদ্যোক্তারা মাছ শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন। তার উদ্যোগ থেকে আয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা, যা জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।