Image description

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি ও যুবদলের পাঁচ শীর্ষ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ। বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল থেকে বারইয়ারহাট পৌরসভা ও মিরসরাই উপজেলা সদরে বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

এর আগে, মঙ্গলবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারাদেশ ঘোষণা করা হয়। বহিষ্কৃতরা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজী, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ও জোরারগঞ্জ থানা যুবদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম।

বহিষ্কারের খবরে রাতেই তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ হয় করেরহাট, বারইয়ারহাট, বড়তাকিয়া ও মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। বুধবার শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর।

তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে যারা রাজপথে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাদেরই আজ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এটি দুঃখজনক ও প্রশ্নবিদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, মিরসরাইয়ে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত টিম পাঠান এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুন।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থানীয় নেতারা, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। বক্তারা সবাই বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার ও দলীয় ঐক্য ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে এলাকাবাসী বলছেন, বহিষ্কৃত নেতারা দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন এবং হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত মিরসরাইয়ে বিএনপির সাংগঠনিক ভাঙন ডেকে আনতে পারে।