
জুলাই অভ্যুত্থানের পর সেই তরুণরা কি তাদের ভাবমূর্তি ধরে রাখতে পেরেছেন— এমন প্রশ্ন করেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। তিনি বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিয়ে সেই নেতৃত্বের বলে দল করতে গেল। এটাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে গিয়ে আরেকটা নতুন অপকর্ম, আরেকটা নতুন চাঁদাবাজির একটা প্ল্যাটফরম তৈরি হয়ে গেল। ’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললাম, ১০০ জন সাধারণ মানুষকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হোক; এই ছাত্রদের জুলাই অভ্যুত্থানের পর এখন যে সমন্বয়ক ছাত্র তাদের কোনো ভাবমূর্তি আছে কি না? আমি মনে করি, ১০০ জনের মধ্যে আমি ১০০ ভোট পাব।
১০০ জনের মধ্যে প্রত্যেকেই বলবে যে না এটা খুব খারাপ পরিণতি হয়েছে।’
‘যাদের বাসায় থাকার কথা, যাদের গেমস খেলার কথা, যারা পড়াশোনা করার কথা, তারা এখন লাখ লাখ কোটি কোটি টাকার স্বপ্ন দেখছে। কোন দিকে আমরা শিক্ষার্থীদের ধাবিত করলাম। দেখেন, এমনও আছে যে স্কুলপড়ুয়া বয়সের এই যে পাঁচজনের মধ্যে অন্তত দুইজনকে দেখছি, তাদের বয়স এত কম।
আগে যে অপকর্মটা বড়রা করত, সেই অপকর্মটা ছোটরা করছে। ’
‘তাহলে কিসের ভবিষ্যৎ, কিসের পড়াশোনা, কিসের শিক্ষাব্যবস্থা। আমরা একটা ভয়াল ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিলাম। শেখ হাসিনাকে তাড়াতে গিয়ে আমরা যে কত বড় একটা ধ্বংসযোগ্য ডেকে আনলাম।
কিন্তু এটা হওয়ার তো কথা ছিল না। জুলাই অভ্যুত্থান একটা গ্লোরিয়াস ব্যাপার হওয়ার কথা ছিল।’
Comments