Image description

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক স্মরণসভায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের অনুপস্থিতি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান। শনিবার চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জুলাই-২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ আয়োজিত এই সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সশরীরে উপস্থিত না হওয়ায় এবং অন্য কোনো উপদেষ্টা না আসায় রাশেদ খান এটিকে ‘শহীদ পরিবারের সঙ্গে তামাশা’ বলে মন্তব্য করেন।

মুহাম্মদ রাশেদ খান অভিযোগ করেন, সভার প্রথম সারির আসনগুলো উপদেষ্টাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হলেও একজন উপদেষ্টাও সেখানে উপস্থিত হননি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “খুব দুঃখ লাগছে। কষ্ট লাগছে। আজকে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একজন উপদেষ্টাও এখানে উপস্থিত হয় নাই। এইটা শহীদ পরিবারের সাথে তামাশা। কেন আসে নাই, কী কারণে আসে নাই, তাদের কাজটা কী। এই শহীদ মায়ের কথা, শহীদ বাবার কথা শুনতে কি কষ্ট লাগে?”

শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকার পরও প্রধান উপদেষ্টার অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই গণ অধিকার পরিষদের নেতা। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা না এসে শহীদ পরিবারের সঙ্গে অন্যায় করেছেন। মুহাম্মদ রাশেদ খান জুলাই বিপ্লবে উপদেষ্টাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “যারা দেখে নাই চোখের সামনে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। যারা বিগত ১৫ বছরের লড়াইয়ে কখনো রাজপথে নামেনি, তাদের নিয়ে সরকার গঠিত হয়েছে।”

স্মরণসভার জন্য দুই মাস ধরে প্রত্যেক উপদেষ্টার কাছে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল আওয়াল বলেন, “তাঁরা যদি না-ই আসবেন, না করে দিতেন। কেন তাঁরা মিথ্যা সান্ত্বনা দিয়েছিলেন।” অনুষ্ঠান শুরুর কিছুক্ষণ আগেও উপদেষ্টারা উপস্থিত হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি ধিক্কার জানান। এ সময় শহীদ পরিবারের অনেক সদস্যকে সভা ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়।

উপদেষ্টাদের জন্য সামনের সারিতে নির্ধারিত জায়গা রাখা হলেও তাঁরা না আসায় অন্যরা সেসব জায়গায় বসেছিলেন। এই ঘটনা সভায় উপস্থিত শহীদ পরিবার ও অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।