Image description

ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক কিশোরী পোশাককর্মী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মামুন নামে এক যুবক ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়ানোর কথা বলে কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানেই বন্ধুদের নিয়ে তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাড়ি চন্ডিপাশা ইউনিয়নের একটি গ্রামে। স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে সে। কারখানায় আসা-যাওয়ার পথে তার সঙ্গে পরিচয় হয় উন্দাইল গ্রামের মামুন মিয়ার (২৫)। মামুন নানাভাবে প্রেম নিবেদন করতে থাকলে ২ মাস আগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ার পর মামুন তার তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ওই কিশোরীকে একটি রেস্তোরাঁয় নিয়ে খাওয়ানোর প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি রাজি না হলেও তাকে কৌশলে একটি অটোরিকশায় তুলে রেস্তোরাঁর দিকে না গিয়ে পাশের গাংগাইল ইউনিয়নের উন্দাইল গ্রামের একটি কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে মামুন কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর মামুনের বন্ধু মমিন উদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলম ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। তাদের সহায়তা করে মামুনের অন্য বন্ধু শাকিল মিয়া। এক পর্যায়ে কিশোরীর ডাক-চিৎকারে বিষয়টি আঁচ করতে পেরে স্থানীয়রা টর্চলাইট নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তারা অভিযুক্তদের চিনতে পারলেও তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী জাহিদ হাসান রকি জানান, তাদের একটি কলাবাগানে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে। চিৎকার শুনে টর্চলাইট হাতে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান মামুন, জাহাঙ্গীর ও মমিন মেয়েটিকে রেখে দৌড়ে পালাচ্ছে। পরে তিনি বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান।

অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তাদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল নম্বর চাইলেও কেউ দিতে পারেননি বিধায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, মামুন তাকে রেস্তোরাঁয় খাওয়ানোর কথা বলে ওই কলাবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর মামুন ও তার দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে। বাধা দিলে তারা মারধরও করেছে। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে সে।

মামলার বাদী জানান, তিনি গরিব মানুষ। মেয়েটি পোশাক কারখানায় কাজ করে তার সংসার চালায়। যারা মেয়ের এমন সর্বনাশ করেছে তাদের কঠিন বিচার চান তিনি। তাঁর অভিযোগ, অনেকে মীমাংসার কথা বলে কালক্ষেপণ করার পর মামলা করায় হুমকি দিচ্ছে।

নান্দাইল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।