Image description

সাধারণত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম বলা হয়। কিন্তু এই ভরা মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ একেবারে কম। যে ইলিশ মাছগুলো বাজারে আসছে সেগুলো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের খাবারের পাতে উঠছে না ইলিশের ঝোল।

জীবননগর উপজেলার মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ইলিশ মাছের সরবরাহ অনেক কম। মাত্র ৫-৬ জন মাছ ব্যবসায়ী অল্পকিছু ইলিশ মাছ বিক্রি করছেন।

মাছ বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, ভরা মৌসুম হলেও এখনো আড়তে ভরপুর ইলিশ মাছ আসা শুরু হয়নি। ১০-১৫ দিন পর থেকে ইলিশ মাছ ভরপুর পাওয়া যেতে পারে। ৮শ' গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ ১৭০০ টাকা থেকে ১৮০০  টাকা কেজি ও ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। জাটকা ইলিশ ৭০০ টাকা থেকে থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। তিনি আরও বলেন, মোকাম থেকে ইলিশ মাছ বেশি দামে কেনা পড়ছে বলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

আরেক মাছ বিক্রেতা বাদল মিয়া বলেন, আড়তে তেমন ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দাম বেশি। ৫-৬ টাই কেজি এই ইলিশগুলো ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

মাছ কিনতে আসা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছোট মেয়েটা ইলিশ মাছ খুব পছন্দ করে। অনেকদিন পরে আজ ইলিশ মাছ কেনার জন্য বাজারে এসেছি। ছোট জাটকা ইলিশ মাছ বলছে ১ হাজার টাকা কেজি। ইলিশের পরিবর্তে সিলভার কার্প মাছ কিনে বাড়ি যাচ্ছি। চড়া দামে ইলিশ মাছ বিক্রি হওয়ার কারনে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকদের শুধু ইলিশ মাছের দামদর ও নাড়াচাড়া করতে দেখা গেছে।

এদিকে ইলিশ মাছ ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে ইলিশের আড়ত ও বাজার মনিটরিংয়ের জন্য ভোক্তা অধিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাধারণ ক্রেতারা।