Image description

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বন্ধ করতে হবে। আমাদের কৃষ্টি কালচারবিরোধী কোনো কার্যালয় থাকতে পারে না। আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব এটা বন্ধ করতে, না হলে জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে তা বন্ধ করতে বাধ্য করবে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা পাইলট স্কুল মাঠে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাতপাখায় ভোট চেয়ে মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, নৌকা কার মার্কা? ধানের শীষ কার মার্কা, লাঙল কার মার্কা? এসব মার্কা সবই জনগণের কিন্তু নির্বাচনে কোনো মাঝি, কোনো কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ প্রার্থী হয় না। প্রার্থী হয় সব বড়লোক, তারা সব ভুলে যায়। কিন্তু হাতপাখা ধনী, গরিব, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ হাতে রাখে। বুকে নিয়ে ঘুমায় হাতপাখা। আপনারা একবার হাতপাখায় ভোট দেন।

প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা সবাইকে দেখেছেন একবার আমাদের দেখেন। আমরা ব্যর্থ হলে আর কখনো আপনাদের কাছে আসব না।

মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে ৪৭ সালে পাকিস্তান আর ভারতের জন্ম হয়েছে কিন্তু কী দেখা গেল পশ্চিম পাকিস্তান শুরু থেকেই আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে থাকে। তারপর বৈষম্যের প্রতিবাদে আন্দোলন করে দেশ স্বাধীন হলো, স্বাধীনতার পর কত সরকার এলো গেল কিন্তু সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হলো না। ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর হলো না অথচ স্বাধীনতার মূল কথা ছিল সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার।

তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষ সমাজে রাষ্ট্রে সমান অধিকার ভোগ করার কথা কিন্তু তা হয়নি। সর্বশেষ ২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে ছাত্ররা। ধনী গরিব, উঁচু-নীচু মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে ভারসাম্যের মধ্যে আনতে ইসলামী শাসনের বিকল্প নেই। কারণ বর্তমান পুঁজিবাদী অর্থনীতি ধনীকে আরও ধনী করে, গরিবকে বেশি গরিব বানায়। কিন্তু ইসলামী অর্থনীতি গরিবকে ধনী করে, ধনীকে ভারসাম্যের মধ্যে রাখে।

তিনি আরও বলেন, চাঁদা ও দুর্নীতি থামে না শুধু হাত বদল হয়। চাঁদা, দুর্নীতি বদল হয় না। আমরা নেতার বদল নয়, নীতির বদল করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাফেজ কারি মো. রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল, সেক্রেটারি মাওলানা সুলতান মাহমুদ সিরাজী, সাবেক ড. ইউনূস আহমদসহ অন্যরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।