Image description

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলের পুকুর থেকে উদ্ধারকৃত আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর ১ম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে দাফনের উদ্দেশ্যে সাজিদের মরদেহ টাঙ্গাইলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাজিদের মৃত্যু তদন্তের আশ্বাস দিয়ে মুচলেকা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

শুক্রবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় কুষ্টিয়া শহরের পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে সাজিদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে নেমে আসে শোকের ছায়া। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ছাত্রসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে, সাজিদের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক উল্লেখ করে মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। সাজিদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পরিচিত ইনসানুল ইমাম সকালে এক ফেসবুক লাইভে বলেন, আমার খুব কাছের বন্ধু মারা গেছে, আমি মনে করিনা আমার বন্ধু মৃত্যুটা স্বাভাবিক ছিলো, সে সাঁতার পারতো, সে কেন পানিতে ডুবে মারা যাবে? বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে আসে। আমি তাকে বিকাল ৫ টা ৫১ মিনিটে ফোন করেছি তাকে, তার ফোনে ফোন ঢুকেছে এবং ফোন রিসিভও হয়েছে (২৪ সেকেন্ড)  কিন্তু কোন আওয়াজ আসেনাই। তার আগ থেকেই না কি দেখা যাচ্ছে পুকুরে তার মরদেহ ভেসে উঠছে৷ 

এদিন, জানাজার পরে প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং তদন্তে গাফিলতির আশংকায় সাজিদের লাশ নিয়ে যেতে বাধা দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের মৌখিক আশ্বাস দিলেও তাতে আস্থা রাখতে না পেরে সাজিদের লাশবাহী গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তার বন্ধু ইনসানুল ইমাম। 

পরে বাধ্য হয়ে একটি সাদা কাগজে মুচলেকা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা। তারা বলেন, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছাজিদ আব্দুল্লাহর আকস্মিক মৃত্যুর বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত এবং সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত করবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, নিহত শিক্ষার্থী আমাদের হলের আবাসিক ছাত্র ছিল। ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আমাদের আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের কাজ চলতেছে, আজকেই হয়ে যাবে। মৃত্যু স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, পোস্টমর্টেম হয়েছে, রিপোর্ট হাতে আসলে নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে। আমরা সিসিটিভি ক্যামেরাসহ সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করবো। সবকিছুই পর্যবেক্ষণ করার পরেই একটি তথ্য জানাতে পারবো।