Image description

পুরান ঢাকায় 'চাঁদা না দেওয়ায়' এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই রাজধানীর পল্লবীতে একই কারণে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পল্লবীর আলব্দিরটেক এলাকায় এ কে বিল্ডার্স নামের একটি আবাসন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে এই হামলা হয়।

এ কে বিল্ডার্স-এর কর্মকর্তাদের দাবি, তাদের কাছে 'পাঁচ কোটি' টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছিল। সেই টাকা না পেয়ে একদল সশস্ত্র লোক হামলা চালায়। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীরা এ সময় চারটি গুলি ছুড়েছে। দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আহত হয়েছেন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ কে বিল্ডার্স-এর চেয়ারম্যান মো. কাইউম আলী খানের ছেলে আমিমুল এহসান শনিবার একটি গণমাধ্যমকে জানান, তিন সপ্তাহ আগে জামিল নামের এক ব্যক্তি তার বাবার কাছে পাঁচ কোটি টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় দুই দফায় তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা করে সিসি ক্যামেরাসহ অনেক কিছু নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। তিনি বলেন, গতকাল ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসী এসে তাদের প্রতিষ্ঠানে হামলা করে এবং গুলিবর্ষণও করে।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গুলিবর্ষণের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি এবং কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তিনি বলেন, ঘটনাটি গুরুত্বসহ তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এ কে বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান কাইউম আলী খান। জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৭ জুন তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রথমবার হামলা করা হয়। এরপর ৪ জুলাই আবার হামলা করে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। তারা ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকিও দেয়। এসব ঘটনার পর গতকাল প্রতিষ্ঠানটিতে আবারও হামলা হলো।

এর আগে গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে এক ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) একদল ব্যক্তি নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রের দাবি, মাসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনে মূল কারণ চাঁদাবাজিই।