Image description

রাজনীতি বিশ্লেষক আশরাফ কায়সার বলেছেন, জুলাই-আগস্টের নায়করা শহীদ, তারা মারা গেছেন। শুনতে খুব খারাপ শোনাবে, কিন্তু জীবিতরা সত্য-মিথ্যা, উদ্দেশ্যপূর্ণ সত্য, উদ্দেশ্যপূর্ণ মিথ্যা দিয়ে গল্প সাজিয়ে তাদের পদ-পদবি, রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের চেষ্টা করছেন। এর থেকে তারা যত দ্রুত বিরত হবেন, তত দ্রুত নিহতদের প্রতি সম্মান জানানো হবে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শো অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থান বা বিপ্লবের আয়রনি হচ্ছে এর নায়করা মারা যান, আর যারা বেঁচে থাকেন তার এই গল্প বলে বেঁচে থাকেন; তারা সুবিধা নেন, মন্ত্রী হন, রাজনীতি করেন।  

আন্দোলনের ক্রেডিট নিয়ে টানাটানির বিষয়ে তিনি বলেন, ওই ১৫৮ জন কিংবা ৫ হাজার জন দিয়ে গণ-অভ্যুত্থান হতো না। গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল ৫০ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছিল বলে। তারা কি জানত কে শিবির, কে ছাত্রশক্তি, কে নাহিদ, কে আসিফ, কে মাহফুজ? কাজেই আপনি যদি কাউকে মাস্টারমাইন্ড বলতে চান তারা শহীদ।

অভ্যুত্থানের কারিগর তারা, যারা জীবন দিয়েছেন।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র-জনতার বিভেদ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এই যে ৫০-৬০ লাখ মানুষ বাংলাদেশের সব জায়গায় নেমেছিল, তারা এখন এদের কথা শুনে নিজেদের প্রতারিত মনে করে। তারা মনে করে— আমি তো জানতামই না এখানে জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ছিল। মানুষ যদি জানত ১৫৮ জন সমন্বয়কের মধ্যে ১০৮ জন দাবি করে তারা শিবিরের লোক, তবে বাংলাদেশের সব মানুষ কি স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক শক্তির ছাত্রসংগঠনের পেছনে দাঁড়াত? অবশ্যই দাঁড়াত না।

এখন তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে যত বেশি কথা বলছে, দেশের মানুষ তত বেশি নিজেকে প্রতারিত মনে করছে। অনেকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে গল্প বলছে, যা হয়নি তা বানিয়ে বলছে; এর মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা-বেইমানি করা হচ্ছে।