Image description

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন যাত্রী। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাত ১২টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার উপজেলার হারবাংয়ের গয়ালমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হানিফ পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাচ্ছিল। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গয়ালমারা এলাকায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের কিছু অংশ খাদে ডুবে যায়। এ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাত ১২টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজে অংশ নেয় চিরিংগা হাইওয়ে থানা-পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও চকরিয়া থানা-পুলিশ।

রাত আড়াইটার দিকে বাসটি ক্রেন দিয়ে খাদ থেকে তোলা হয়। এ সময় এক যুবকের লাশ বাসের জানালায় ঝুলে থাকতে দেখা যায়। আরেক যাত্রীর লাশ বাসটির নিচে চাপা পড়ে ছিল। বাসটিতে চালক-সহকারীসহ ৪০ জন ছিলেন বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল হয়ে পড়া সড়কে দ্রুতগতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি।

জানতে চাইলে বাসটির যাত্রী কাজী সোহেল বলেন, তিনি মাতারবাড়ী কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে চাকরি করেন। চট্টগ্রাম থেকে চকরিয়া পর্যন্ত টিকিট কেটেছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে চুনতি পর্যন্ত বাসটি ধীরগতিতে চলে। এ কারণে যাত্রীদের সঙ্গে চালকের কথা-কাটাকাটিও হয়। তবে চুনতি পার হওয়ার পর হঠাৎ দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি।

চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং এলাকায় যাত্রীবাহী হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে গাড়িতে থাকা অনেক যাত্রী বাসের ভেতরে আটকে পড়েন। পরে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের টিম এবং স্থানীয় লোকজন উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে ৬ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করে চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এ ছাড়া দুজনকে বাসের নিচ থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে হতাহতদের নাম এখনও জানা যায়নি। যাত্রীবাহী হানিফ পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাচ্ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাত আড়াইটা পর্যন্ত বাসটি উদ্ধারে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিস। পুরো বাসটি তল্লাশি চালানো হয়েছে, তবে আর কোনও যাত্রীকে বাসের নিচে পাওয়া যায়নি।’