চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির ২ কর্মীর কারাদণ্ড, প্রতিবাদে থানা ভাঙচুর

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির দুই কর্মীকে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ও থানা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২ জুলাই ) মধ্যরাতে এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই ) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার।
পুলিশ, বিএনপি নেতাকর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে পাটগ্রামের অ-বাজার এলাকা থেকে বেলাল ও সোহেল নামে বিএনপির দুই কর্মীকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। রাতেই আটককৃত ওই দুই বিএনপি কর্মীকে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উত্তম কুমার দাস ১ মাসের সাজা দেন।
এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশের অভিযোগ, বিএনপির নেতাকর্মীরা থানা ভাঙচুর করেছেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মধ্যরাতেই আটককৃত ওই দুই কর্মীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। গ্রেফতার ও সাজার ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে পর্যায়ক্রমে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধান, বাদশা জাহাঙ্গীর মোস্তাজির চপলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর কথা কাটাকাটি হয়। মূলত গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্থিরতা তৈরি হলে একপর্যায়ে সংঘর্ষটি ঘটে। এ সময় বিএনপি নেতা চপলসহ বিএনপির প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে বিএনপি। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে বিএনপির দাবি, পুলিশ অন্যায়ভাবে দু'জনকে আটক করে এবং ইউএনও উত্তম কুমার দাস আদালত বসিয়ে সাজা দেন। পাথর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত লোকজন কেবল এর প্রতিবাদ করেছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, থানায় হঠাৎ আক্রমণের ঘটনা ঘটলে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। হামলাকারীরা থানার বেশ কিছু সরঞ্জামাদি ভাঙচুর করেছে। এ সময় আটজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে তিনি জানান। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
Comments