
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ফেরদৌসী বেগম নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ২ লাখ টাকা চুক্তিতে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা চুক্তিতেই ওই নারীকে খুন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- দক্ষিণগ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০), একই গ্রামের আনোয়ার (৩০), রুবেল আহমেদ মিন্টু (৩১) ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু (২৭)।
ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সৌদিপ্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন ও জা নুরজাহান বেগম মধ্যে বাড়ির পাশের একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিষয়ে কোনো সুরহা না হওয়ায় ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নুরজাহান বেগম।
মামলার তদন্ত সূত্র জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী এলাকার মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দুই লাখ টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী আনোয়ার হোসেন সঙ্গে রুবেল জিল্লু যুক্ত হন। চুক্তি অনুযায়ী গত ২৭ জুন সকালে ফেরদৌসী বেগমকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন বাগানে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন তারা। ফেরদৌসী বেগম নিখোঁজের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে গত মঙ্গলবার সকালে সেপটিক ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী ফেরদৌসী বেগমের লাশ উদ্ধার করে বুড়িচং থানা পুলিশ।
এ ঘটনার পর নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বুড়িচং থানা পুলিশ প্রথমে নিহতের নুরজাহান বেগম আটক করে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন তিনি। পরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় অভিযান চালিয়ে আরও তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Comments