
দীর্ঘ ৫৮ দিন অবরোধের পর ভর মৌসুমে সাগরে ও নদীতে কাঙ্খিত পরিমাণে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ মিলছে না জেলেদের জালে। এতে চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন দেশের উপকুলীয় জেলা বরগুনা পাথরঘাটার জেলেরা। কষ্টে কেটেছে জেলেদের দিন। দীর্ঘ ৫৮ দিন তীরে বসে কষ্টে সময় পার করে মাছের সন্ধানে সমুদ্র গিয়ে অনেকেই ফিরেছে খালি হাতে। বর্তমানে বৈরী আবহাওয়ায় সাগর উত্তল থাকায় সাগরে না গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে জেলেরা তীরে বসে। সাগরের মাছ না থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সমুদ্র নদীর মাছের সাথে সংশ্লিষ্ট হাজারো মৎস্যজীবীরা।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, অবরোধের পর ১২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত এই কেন্দ্রে মাছ বিক্রি হয়েছে ১৩৬ মেট্রিকটন। ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫১ মেট্রিকটন অন্যান্য মাছ ৮৫ মেট্রিকটন। সরকার অবতরণ চার্জ পেয়েছে ৯ লাখ ১৭ হাজার ৫০ টাকা। বিগত বছরগুলোর থেকে অনেক অংশে কম ।
জেলে রহিম জানান, দীর্ঘ ৫৮ দিন অবরোধে কষ্টে কাটিয়ে মাছ শিকারে গিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছে অনেকে । ভালো নেই তাদের পরিবারের লোকজন। ধার-দেনা করে ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে লোন নিয়ে চলছে তাদের সংসার। বৈরী আবহাওয়া শেষে সমুদ্রে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ নিয়ে তীরে ফিরবে এমন আশায় বুক বেঁধেছে তারা ।
জেলেরা আরও জানান, ছেলেবেলা থেকেও জেলে পেশার সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও এখন পর্যন্ত পায়নি কোন সরকারি সহায়তা। বর্তমান সময়ের বেড়েছে সমুদ্রে ডাকাতি। মাছ শিকারে গিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয় জেলেদের।
ট্রলার মালিক টিপু খান জানান, লাখ লাখ টাকার বাজার নিয়ে সমুদ্রে মাছ শিকার গিয়ে জেলেরা ফিরেছে খালি হাতে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সময়টায় সাধারণত ইলিশের সংখ্যা সমুদ্রের বেশি থাকে এই সময়ে বেশি বেশি পাওয়া যায়। আমরা আশা করি বৈরী আবহাওয়া শেষে আমাদের জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকারে গিয়ে মাছ নিয়ে তীরে ফিরবে।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হাসিবুল হক জানান, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ জেলে পেশার সাথে জড়িত। তাই এই এলাকার মানুষ মাছের উপর নির্ভরশীল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলে ভাইয়েরা সমুদ্র যেতে পারছে না। আমাদের কাছে খবর রয়েছে সমুদ্রে পানি বেড়েছে সেই কারণে সমুদ্রে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ রয়েছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে মাছ শিকারে গিয়ে জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ নিয়ে বিএফডিসি ঘাটে ফিরবে ।
Comments