Image description

জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজারে ধর্মীয় ভাব গাম্বির্জে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রা উৎসব। শুক্রবার বিকালে সাচনা বাজার শ্রী শ্রী জগন্নাথ জিওড় মন্দির থেকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষ করে রশি দিয়ে রথ টেনে বের করে আনেন হাজারো ভক্তবৃন্দ। 

হাওর অঞ্চলের সর্ববৃহৎ এবং শতবর্ষ পুরনো এই রথযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন, সাচনা বাজার ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুক মিয়া, রথযাত্রার পুরোহিত বিদ্যুৎ জ্যোতি চক্রবর্তী, জগন্নাথ জিওড় মন্দির কমিটির পুরোহিত পংকজ চক্রবর্তী, রথযাত্রা কমিটির আহ্বায়ক সুধীর রায়, জগন্নাথ জিওড় মন্দির কমিটির সভাপতি অজয় পাল চৌধুরী, সহ-সভাপতি জয়বেন্দ্র পাল, অজিত পাল, মনি লাল সরকার, সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজিত দে, সহসাধারণ সম্পাদক মানিক বণিক, নিরঞ্জন রায়, নান্টু বণিক, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আক্কাস মুরাদ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমরেন্দ্র আচার্য শম্ভু, রাম কৃষ্ণ সেবা আশ্রমের সভাপতি কৃপেশ বণিক, সাধারণ সম্পাদক অনন্ত পাল, রথ যাত্রা উদযাপন কমিটির সদস্য সুমন পাল চৌধুরী, প্রমতোষ রায়, সজিব বণিক, প্রসেনজিৎ পাল চৌধুরী,  প্রিন্স রায়, বাপ্পু দেবনাথ। 

রথযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সত্য রঞ্জন দাস বলেন, ভগবান জগন্নাথের আর্শিবাদ পাওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রত যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছি। মনের বাসনা পূর্ণ করার লক্ষ্যে রথের দড়ি টেনেছি এবং পরিবারের সদস্য সহ আত্মীয় স্বজনের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেছি। 

রথযাত্রার পুরোহিত বিদ্যুৎ জ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা শত শত বছর আগে ভারতের পুরী এলাকায় সর্বপ্রথম শুরু হলেও সাচনা বাজারে প্রায় ২০০ শত বছর আগে থেকে রথ যাত্রা শুরু হয়। 

তিনি আরো জানান, সনাতন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী দাদা বলরাম ও বোন সুব্রদার সঙ্গে রথে চড়ে জগন্নাথ দেব আজ মাসির বাড়ি রওনা দিয়েছেন। উল্টো রথ পর্যন্ত উনারা সেখানে থাকবেন। উড়িশার প্রধান উৎসব রথের সাথে বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পূজার এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। কারণ রথের রশিতে টান পড়লে ভেসে আসে মা দূর্গার আবাহন বার্তা। রথের দিনে অনেক পূজা কমিটি খুটি পূজা করে থাকেন। বাঙ্গালির মনে এই দিন থেকে শুরু হয়ে যায় দূর্গা পূজার আগমনী বার্তা। 

রথযাত্রার আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক সুধীর রায় জানান, আগামী ১২ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মাধ্যমে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। পুলিশ প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সার্বিক নিরাপত্তায় সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে রথ যাত্রা সম্পন্ন হয়।