
আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়ায় বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। এই খবর পেয়ে তার স্ত্রী রিয়া মনি দ্রুত হাসপাতালে ছুটে গেছেন। হাসপাতালে হিরো আলমকে দেখতে গিয়ে রিয়া মনি কয়েকটি ছবি তুলে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন।
ছবিগুলোর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, "সম্পর্ক গড়ে তুলতে যেমন সময় লাগে, সম্পর্ক ভেঙে দিতেও তেমন সময় লাগে। সম্পর্ক গড়ে ওঠে দুজনের মতে আর ভেঙে যায় তৃতীয় পক্ষের কারণে।" রিয়া মনির এই পোস্ট হিরো আলমের ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন এবং তাদের সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে।
জানা গেছে, হিরো আলমের সঙ্গে স্ত্রী রিয়া মনির সম্পর্কের টানাপড়েন চলছে কিছুদিন ধরে। সেই হতাশায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন হিরো আলম। সেই খবর পেয়েই বগুড়া ছুটে গেছেন রিয়া মনি।
এর আগে বগুড়ার ধুনটে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগর। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হিরো আলম ধুনট উপজেলার যমুনা নদীর তীরে ভান্ডারবাড়ি গ্রামে বন্ধু জাহিদের বাড়ি বেড়াতে যান। রাতে রিয়া মনিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষণ দুই বন্ধুর মধ্যে আলাপ হয়। এরপর তারা পৃথক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন।
এদিন বেলা ১১টার দিকে হিরো আলমকে ঘুম থেকে ডেকে না পেয়ে তার বন্ধু উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। এ সময় হিরো আলমের বালিশের পাশে ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
বন্ধু জাহিদ হাসান সাগর জানান, দীর্ঘদিনের বন্ধু হিরো আলম আমার বাড়িতে এসে রিয়া মনিকে নিয়ে হতাশার কথা বলেন। তিনি জানান, যেখানে যান সেখানে লোকজন তাকে বিরক্ত করেন, নানা প্রশ্ন করেন। এখানে একটু নীরবে সময় কাটাতে এসেছিলেন। আমার ধারণা, রিয়া মনিকে না পাওয়ার হতাশা থেকেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ঘুমের ওষুধ সেবন করায় হিরো আলম অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তার সঙ্গে থাকা লোকজন প্রথমে তাকে স্থানান্তরে অনাগ্রহ দেখান। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।
Comments