
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনে শহীদ ইঞ্জিনিয়ার মো.ওমরের লাশ সুরতহাল এবং ময়না তদন্তের জন্য মৃত্যুর ১০ মাস ২০ দিনের মাথায় কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় নিয়োগপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমার উপস্থিতিতে এ কার্য সম্পাদন করা হয়েছে।
মরদেহ উত্তোলনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার উপ পরিদর্শক ও বোয়ালখালী থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন। এসময় শহীদ ওমরের মা ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, আদালতের নির্দেশে শহীদ ওমরের মরদেহ উত্তোলনের পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। এরপর ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে আবারো দাফন সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে চলতি বছরের গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। আদেশের প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুন চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক স্বাক্ষরিত আরেক আদেশে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ প্রদান করা হয়।
এ আদেশে বলা হয়, "ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার মামলা নং-২১(৮)২৪, জি.আর মামলা নং-৩০৪/২৪ এর ভিকটিম ওমর বিন নুরুল আবছার (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। দেশের পারিপার্শ্বিক কারণে ভিকটিমের অভিভাবকগণ সুরতহাল, ময়নাতদন্ত এবং স্থানীয় পুলিশকে অবগত না করে ওমরের লাশ ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরিবারের লোকজন উপজেলার আকুবদণ্ডী গ্রামের কবরস্থানে দাফন করেন। ফলে ভিকটিমের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়না তদন্ত করা হয়নি। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ভিকটিম ওমরের লাশ কবর হতে উত্তোলনের আদেশ প্রদান করা হয়।
Comments