
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হবিবুর রহমান হলের ১৫৩ নম্বর কক্ষে এক নারী সহপাঠীকে নিয়ে রাত্রিযাপন করায় নাজমুল হোসেন নামের এক শিক্ষার্থীর আবাসিক আসন বাতিল করা হয়েছে। ৪ জুন এই ঘটনা ঘটলেও, শনিবার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মোতাহার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, "ঘটনাটি সত্য। হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছিলেন। ওই শিক্ষার্থী বাড়িতে থাকায় প্রথমে জবাবদিহি করা যায়নি। পরে ক্যাম্পাস খোলার পর তাকে ডেকে জবাবদিহি করা হয়।"
তিনি জানান, অভিযুক্ত ছাত্র ঘটনাটি স্বীকার করায় তার আসন বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ থাকা অবস্থায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নাজমুল হোসেন এবং তার নারী সহপাঠী একই বিভাগের শিক্ষার্থী। হলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সেদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই আবাসিক ছাত্র সাইকেলে করে হলকক্ষ থেকে বান্ধবীকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় ছাত্রীটির গায়ে শার্ট এবং মাথায় ক্যাপ পরা ছিল।
হলের প্রহরী শাহজান আলী জানান, তারা দরজায় উপস্থিত থাকলেও খুব সকালে বিপরীত দিক থেকে আসার কারণে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। মেয়েটিও ছেলেদের পোশাকে ছিলেন এবং সাইকেলের গতি বেশি থাকায় তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি বিষয়টি প্রাধ্যক্ষকে অবহিত করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন এই বিষয়ে বলেন, ৩ জুন তার জন্মদিন ছিল এবং সেদিন জন্মদিন উদযাপন করতে গিয়ে রাত হয়ে যায়। অন্যদিকে, তার নারী সহপাঠীকে ঈদের ছুটির জন্য ৩ তারিখের মধ্যে মেস ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। সহপাঠী মেসে যেতে পারবেন না বলে তাকে হলে রাখার অনুরোধ করেন। নাজমুলের দাবি, মূলত নিরাপত্তা দিতেই তিনি সহপাঠীকে রাতে হলে নিয়ে এসেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা উপকমিটির সভাপতি ও প্রক্টর মাহবুবর রহমান জানিয়েছেন, হল প্রশাসন মৌখিকভাবে ঘটনাটি জানিয়েছে। হল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ঘটনাটি তদন্ত করেছে এবং শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
Comments