
নওগাঁর ধামইরহাট থানা হেফাজতে থাকা ট্রাংক ভেঙে আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার (এইচএসসি) প্রশ্নপত্র তছনছ করা হয়েছে। ছিড়ে ফেলা হয়েছে একটি বিষয়ের ১৫টি প্রশ্নপত্র। গত মঙ্গলবার রাতে থানার হাজতে প্রশ্নপত্র তছনছের এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় দায়িত্বে পালনে অবহেলার দায়ে এক উপ-পরিদর্শক ও এক কনস্টেলকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে নওগাঁ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অবশ্য তদন্ত কমিটি গঠন করলেও নওগাঁ পুলিশ সুপার (এসপি) সাফিউল সারোয়ার দাবি করেছেন কোনো প্রশ্নপত্র খোয়া যায়নি। জনৈক আসামি থানা হাজতে প্রশ্নপত্র তছনছ করেছে বলেও জানান তিনি।
এসপি সাফিউল সারোয়ার বলেন, ‘ধামইরহাট থানা হেফাজতে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র রাখা হয়েছে একটি সিলগালা করা ট্রাংকের মধ্যে। যার দুটি তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এতে রাখা রাজশাহী বোর্ডের ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র সেট কোড নম্বর ৩০৫ এর ৫০টি প্রশ্নপত্রের মধ্যে কয়েকটি প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। যার মধ্যে আড়াআড়িভাবে ১৫টি ছেড়া অবস্থায় ও ৩৫টি প্রশ্নপত্র ভালো অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে কোনো প্রশ্নপত্র চুরি বা খোয়া যায়নি।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘গত ২৪ এপ্রিল রাতে জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা বাজারে দুর্বৃত্তের হামলায় উজ্জ্বল হোসেন নামে একজন ছাগল ব্যবসায়ী নিহত হন। ওই মামলার আসামি বংশিবাটি এলাকার সাগর হোসেনকে (৩০) আটক করে মঙ্গলবার রাতে থানায় আনা হয়। পরে তাকে ট্রাংক রাখা থানা হাজতে রাখলে হাতে হাতকড়া থাকাকালীন সে ট্র্যাংকে থাকা প্রশ্নপত্রগুলো বের করে তছনছ করে এবং কয়েকটি প্রশ্নপত্র আড়াআড়িভাবে ছিড়ে ফেলে। প্রশ্নপত্রের সিলগালা করা ট্রাংকের সিলগালার সাথে তালা ও চাবি একসাথে থাকায় সহজেই আসামি সাগর হোসেন ওই ট্রাংক খুলে ফেলে। ধারণা করা হচ্ছে ও ট্রাংকে অস্ত্র বা দামি কোনো মালামাল আছে এই ভেবেই সাগর ট্রাংক ভেঙে ভেতরে কিছু না পেয়ে প্রশ্নপত্র তছনছ করেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ধামইরহাট সরকারি এমএম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে আমার জানামতে, কোনো প্রশ্নপত্র খোয়া যায়নি।’
Comments