Image description

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেছেন, কারাগার থেকে মাদক সম্পূর্ণ নির্মূল করা রাতারাতি সম্ভব নয়। তবে কারা কর্তৃপক্ষ মাদক বিস্তার রোধে কঠোরভাবে কাজ করছে এবং এই বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে যশোর কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি জানান, মাদকের সঙ্গে জড়িত জেল পুলিশসহ বন্দীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে মাদকের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বেশ কয়েকজন জেল পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি স্তরে সংস্কারের জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় কারাগারে কী কী সংস্কার আনা প্রয়োজন, সেগুলোর বিষয়ে আমরা কাজ করছি। সেজন্য প্রতিটি জেলখানায় গিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জেল পুলিশের স্লোগান ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ’ বন্দীদের সেই আলোর পথ দেখানোর জন্য আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে দ্রুত এই সংস্কার কাজ শেষ হবে এবং বন্দীরা কারাগারে আরও ভালো পরিবেশ পাবে।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নরসিংদীর কারাগার থেকে পালানো আসামীদের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, পলাতক বন্দীদের সবাইকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি। তাদের ধরতে বাংলাদেশ পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে। তবে এই মুহূর্তে তাদের আটক করতে যে পরিমাণ ফোর্স নামানো প্রয়োজন, সেটি তারা পারছেন না। 

তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোনো অপরাধী বেশিদিন থাকতে পারবে না এবং পলাতক আসামিরা দ্রুত আটক হবে।

যশোর কারাগারের সংস্কারের বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক জানান, ১৮৭৫ সালে নির্মিত এই কারাগারটির এরপর বড় ধরনের কোনো সংস্কার হয়নি। কারাগারটি পুনর্নির্মাণের ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে যশোর কারাগারের কাঠামোগত বড় সংস্কার হবে। পাশাপাশি, কারাগার পরিদর্শনে এখানকার বর্তমান ব্যবস্থাপনা দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।