Image description

রাজধানীর ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাড়ির দ্বিতীয় তলায় সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শুক্রবার এক তরুণকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মো. উজ্জ্বল হোসেন (২৮) নামের এই তরুণকে দুপুরের দিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।

এদিকে, শাহজাদপুরের উত্তর সহদানপুরের একটি বাসা থেকে আইভি আক্তার রিতু (২৩) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মরদেহ দুপুরের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মৃত উজ্জ্বল হোসেন যশোরের শার্শা উপজেলার জামতলা বাজার এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। বর্তমানে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারে ভাড়া থাকতেন। তিনি অলটাইম বেকারির কর্মচারী ছিলেন বলে জানিয়েছে স্বজনরা। তাকে অচেতন অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে দুপুর ২টা নাগাদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরিবারের দাবি আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

মৃতের ভগ্নিপতি মো. সাজেদুল বলেন, ‘আজ সকালের দিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্যল হয়েছিল উজ্জ্বলের। পরে আমরা সবাই জুমার নামাজ পড়তে যাই। সেখান থেকে এসে উজ্জ্বলের ঘরের দরজার ছিটকিনি বন্ধ পেয়ে দরজা ভেঙে দেখি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে।’

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।’

অপরদিকে, শাহজাদপুর উত্তর সহদানপুরের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় আইভি আক্তার রিতুর ঝুলন্ত মরদেহ।

শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে গতরাতে উত্তর শাজাহানপুর সি-২ ৬০৯ নম্বর বাসার তৃতীয় তলায় দরজা ভেঙে ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানে সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পচনশীল ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়‌।’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত রিতু উত্তরায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তিনি ফরিদপুর সদরের রঘুয়াপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের কন্যা। বর্তমানে উত্তর শাজাহানপুরের বাসায় ভাড়া থাকতেন।

এ প্রসঙ্গে এসআই মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্থানীয়দের কাছে জানতে পারি স্বামী–স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই বাসা ভাড়া নেয়। চার পাঁচ দিন ওই রুম না খোলায় ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এলাকাবাসী আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা গিয়ে দরজা ভেঙে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। আমরা বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’