
কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলমকে ৭টি মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার সকালে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল কবির তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, জাফর আলম চকরিয়া থানার পাঁচটি ও পেকুয়া থানার দুটি মামলার আসামি। এর মধ্যে চকরিয়া থানার ৫টি মামলায় ১৪ দিন ও পেকুয়া থানার ২টি মামলায় ৪ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। জাফর আলমকে আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কাঠগড়ায় তোলা হয়। ৭টি মামলায় শুনানি শেষে ৯টা ৩৭ মিনিটে তাঁকে কাঠগড়া থেকে নামিয়ে চকরিয়া থানার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. গোলাম সরওয়ার বলেন, চকরিয়া থানার চারটি ও পেকুয়া থানার দুটি হত্যা মামলা এবং চকরিয়া থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আরও একটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা পৃথকভাবে জাফর আলমের ২৪ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। আদালত শুনানি শেষে এসব মামলায় সর্বমোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
জাফর আলমকে আদালতে আনার খবরে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে থানা রাস্তার মাথা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। সেখানে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক, চকরিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুদ্দিন ফরায়জী। সমাবেশ থেকে জাফর আলমের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
অপরদিকে জাফর আলমকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদে ঝটিকা মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু নেতা-কর্মী। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার মগবাজার এলাকায় তাঁরা ঝটিকা মিছিল করেন। এতে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, খুটাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম ও চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের কর্মী এনামুল হক।
চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে জাফর আলমকে চকরিয়া আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য তোলা হয়। আদালতের আশপাশে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ বিভিন্ন স্তরে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলে। সকালে বৃষ্টি থাকায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের কারণে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ১৪ দিনের রিমান্ডের জন্য সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া আদালত থেকে চকরিয়া থানায় আনা হয়েছে। রিমান্ড শেষ হলে তাকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে।
Comments